কলকাতা: মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনস্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ করল, তার প্রথম দশেই জায়গা করে নিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সেরাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও জায়গা করে নিয়েছে সাত বিশ্ববিদ্যালয়।


উল্লেখযোগ্য ভাবে তালিকায় উন্নতি হয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ারও। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর থেকে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে জামিয়া। তার অন্যতম কারণ হল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীদের লাগাতার আন্দোলন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপঞ্জির মতো ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের চোখে চোখ রেখে আন্দোলন চালিয়ে গেছে জামিয়া। যার খেসারতও দিতে হয়েছে তাদের। ‘দেশদ্রোহী’ তকমার সঙ্গেই জামিয়ার আন্দোলনকারীদের ওপর নেমে এসেছে রাষ্ট্রের অমানবিক অত্যাচার। পুলিশ দিয়ে জামিয়ার আন্দোলনকারীদের মারধর করারও অভিযোগও ওঠে।


অন্যদিকে জেএনইউ-ও একইরকমভাবে পড়ে যায় রাজরোষে। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে কার্যত বিদ্রোহ করে বসে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদে মুখোর হন ঐশী ঘোষরা। বিতর্ক আরও বাড়ে যখন আরএসএস-এর শাখা সংগঠন অখিল ভারতীয় পরিষদের পড়ুয়ারা জেএনইউয়ের হস্টেলে হামলা চালায়। শ্লীলতাহানি থেকে শুরু করে মারধর, আক্রোশ থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপিকারাও। হামলায় গুরুতর জখম হন জেএনইউএর নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি তথা বামনেত্রী ঐশী। ওই পরিস্থিতিতে তাঁর পাশে দাঁড়ায় বলিউড। স্বরা ভাস্কর, অনুরাগ কাশ্যপ সহ ঐশীর পাশে দেখা যায় দীপিকা পাড়ুকোনকেও। সমালোচকদের অনেকেই মনে করেন রাজধানীর এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ই ‘বিজেপির বিষনজরে’। তবে এবার বিজেপি সরকার প্রকাশিত তালিকাতেই সেরার শিরোপা আদায় করে নিল জেএনইউ এবং জামিয়া।


একই ছবি বঙ্গেও। ‘সরকার বিরোধী’ আন্দোলনে সামিল হওয়া যাদবপুর ও কলকাতাও জায়গা করে নিয়েছে দেশের সেরাদের তালিকায়।


উল্লেখ্য, এপ্রিলেই এই তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এনআইআরএফ-এর। তবে করোনা মহামারীর কারণে তালিক প্রকাশ পিছিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তার এগারো নম্বরেই রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালায়। তারপরই রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত একশো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চেন্নাইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনলজি মাদ্রাজ। তারপরই রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সাইন্স (বেঙ্গালুরু)। প্রথম পাঁচেই রয়েছে খড়গপুরের আইআইটি-ও। পশ্চিমবঙ্গ থেকে জায়গা করে নেওয়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৬৯ নম্বরে।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI