Higher Studies in Abroad: উচ্চ শিক্ষার (Higher Studies) জন্য বিদেশে (Abroad) যাওয়া অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু এক্ষেত্রে সবার আগে বাদ সাধে খরচ (Expense)। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সত্যিই সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়ে পড়াশোনা করানো একপ্রকার অসম্ভব। আর্থিক অবস্থা আর একটু খারাপ হলে হয়তো স্বপ্ন দেখাই সার। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। যেগুলো মেনে চলতে পারলে বিদেশে গিয়েও পড়াশোনা করা সম্ভব।
- কী নিয়ে পড়বেন, কোথায় পড়বেন আগে ভাল করে মনস্থির করতে হবে
- এবার শুরু করুন খোঁজখবর, সবার আগে স্কলারশিপের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন
- কোন কোন দেশে টিউশন ফি কম বা নেই, সেটাও নজরে থাকা ভাল
- বিদেশে পড়াশোনা করতে চাইলে খোঁজখবর নিয়মিত ভাবে রাখা দরকার
- সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সবার আগে প্রয়োজন, নাহলে সুযোগই আসবে না
পড়াশোনায় খাতে খরচ ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে সন্তানের ভাল গুণমানে শিক্ষা হওয়ায় প্রয়োজন। হয়তো আপনি বিদেশে পড়তে পাঠাতেও চান সন্তানকে। কিন্তু তার আগে ভাল করে জেনেবুঝে নিন কোথায় খরচ কেমন। কোন দেশে কোন ধরনের পড়াশোনা ভাল হয়, সেদিকেও খোঁজ রাখা প্রয়োজন। সর্বোপরি শিক্ষাখাতে কত টাকা লোন নিতে পারবেন, কোথায় স্কলারশিপের কেমন সুযোগ, যে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন আদৌ সেটা পড়ে লাভ কতটা (চাকরি পাওয়া বা উচ্চ শিক্ষার নিরিখে)- এইসব বিষয়ই নজরে রাখা দরকার।
কোন দেশে কোন কোর্সের খরচ কত
শুধুমাত্র কোর্স ফি নয়, আনুষঙ্গিক আরও অনেক জিনিস রয়েছে যেখানে বেশ ভাল পরিমাণে খরচ হয়। বিদেশে পড়তে গেলে সেখানে থাকা-খাওয়ার বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেকক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন, সেখানেই পড়ানোর সুযোগও দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। একটা বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন যে দেশেই পড়তে যান না কেন সেখানকার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খরচ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেকটাই কম হয় সাধারণত। এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া- এইসব জায়গা পছন্দ করেন। সেখানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোর্স পড়ানো হয়, খরচ কেমন এই ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই খোঁজ রাখা দরকার। বিশেষ করে কীভাবে সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন, সেই অনুসারে নিজেকে প্রস্তুত করাও প্রয়োজন।
পড়াশোনার খরচের নিরিখে বিভিন্ন দেশের তুলনা
ডাক্তারি অর্থাৎ মেডিক্যাল সংক্রান্ত পড়াশোনার ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চিনে খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এর পাশাপাশি জার্মানি, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ডে পড়াশোনার খরচ আমেরিকা এবং ব্রিটেনের তুলনায় কম। তবে কোন দেশের পড়াশোনার ফি পরিকাঠামো কেমন, স্কলারশিপের কী সুবিধা রয়েছে, থাকা-খাওয়ার খরচ কেমন, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এইসব খরচ ভিন্ন। তাই কোন দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় আপনার পড়াশোনার জন্য সঠিক হবে, সেটা বোঝা যাবে সব খুঁটিনাটি বিষয় জানার পর এবং আপনার বাজেট ও পড়ার বিষয় অনুসারে।
স্কলারশিপ, পরীক্ষা, প্রস্তুতি
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী নিয়ে পড়তে যান, কীভাবে সুযোগ পাওয়া যাবে এই বিষয়ে অনেক আগে থেকে খোঁজখবর রাখা প্রয়োজন। তাহলে পড়ুয়াদের নিজেদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। অনেক ক্ষেত্রেই ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপের ব্যবস্থা থাকে। সেই খোঁজ নিয়মিত ভাবে রাখা দরকার, তাহলে আপডেট হলেও জানতে পারবেন। অনেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেই বিদেশে পাড়ি দেন উচ্চ শিক্ষার জন্য। অনেকে আবার ডক্টরেট বা পিএইচডি কিংবা পোস্ট ডক্টরেট করতে যান। সবক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকে না। অতএব সবার আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করা প্রয়োজন। যদি ছোটবেলাতেই ভাবেন যে সন্তানকে বিদেশে পড়তে পাঠাবেন তাহলে অভিভাবকদের সেই অনুসারে এডুকেশন লোন এবং ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপারে দক্ষ হতে হবে।
আরও পড়ুন- মানবদেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় রাখতে অবশ্যই পাতে পড়ুক এই পাঁচ 'সুপারফুড'
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI