কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : করোনার জেরে এ বছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বাতিল হয়েছে। দেড় বছর ধরে রাজ্যে কার্যত স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ। পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে অফলাইনে মাধ্যমিক, উচ্চমাধমিক পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তাহলে মার্চ-এপ্রিলেই কি রাজ্যে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা?
সরকারি সূত্রে খবর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এই আশায় মার্চে মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিনের একাধিক খসড়া তৈরি করে রাখা হয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে, সেক্ষেত্রে মার্চ এপ্রিলে জুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক, রাজ্যের এই দুই জোড়া পরীক্ষাই হতে পারে।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানালেন, ' যেভাবে ভ্যাকসিনেশন হয়েছে, তাতে থার্ড ওয়েভ আশা করা যায় আসবে না। সরকার নভেম্বরে স্কুল খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে মার্চ এপ্রিলে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তবে গোটাটাই সরকারের শিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে'
পরীক্ষার সূত্রেই কাটছাঁট করা হয়েছে সিলেবাস। ২০২২-এর একাদশের বার্ষিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে একাধিক বিষয়। বাদ পড়েছে স্বামী বিবেকানন্দর লেখা প্রবন্ধ। কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা। মাইকেল মধুসূদন দত্তর নাটকের মতো একাধিক বিষয়। ইতিহাস থেকে বাদ পড়েছে ধর্ম, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশিকতাবাদ। রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে বাদ পড়েছে নাগরিকত্ব, জাতিপুঞ্জ, বিদেশনীতির মতো বিষয়।
যদিও এই সিদ্ধান্তে কোনও অভিসন্ধী নেই বলে দাবি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, বিবেকানন্দ বাদ না গেলে অন্য কেউ বাদ যেতে পারতেন। কোনও অভিসন্ধি ছিল না। কেউ না কেউ তো বাদ যাবেনই।
সিলেবাস কাটছাঁট নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সংসদ জানিয়েছে, দু’একটি বিষয় ছাড়া পুরনো প্রশ্ন কাঠামোতেই ২০২২ সালের একাদশের বার্ষিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। করোনা আতঙ্ক কমলে পুজোর পরই রাজ্যে খুলতে পারে স্কুল ! সেই লক্ষেই এগোচ্ছে রাজ্য। তৃতীয় ঢেউ না এলে, হয়ত আগামী বছর থেকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে পড়ুয়ারা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI