Success Story: স্বপ্ন দেখতে হয় বড়, আর সেই স্বপ্নকে সফল করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হয়। স্বপ্ন যত বড়ই হোক না কেন, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম থাকলে তা সম্ভব হবেই। আর সেই দৃষ্টান্তই গড়ে তুলেছেন ওড়িশার জয় কিশোর প্রধান। বয়সের গণ্ডি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে অবসরের পরে নতুন জীবন শুরু করেছেন জয় কিশোর। ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন নিট পরীক্ষায় (NEET Success Story) উত্তীর্ণ হয়ে। ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে অবসর গ্রহণের পর এমবিবিএস পড়ার যাত্রা শুরু করেছেন জয় কিশোর (Jay Kishore Pradhan)।
৬৪ বছর বয়সে ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে অবসর গ্রহণের পর ডাক্তারি পড়া শুরু করেছিলেন জয় কিশোর। আর সেভাবেই নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। তাঁর এই যাত্রাপথ কঠিন পরিশ্রম আর ধৈর্যের প্রমাণ দেয়। ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন ওড়িশার জয় কিশোর। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার পদে কর্মরত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন।
স্টেট ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী জয় কিশোর (Jay Kishore Pradhan) নিট পরীক্ষায় (NEET Success Story) উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে। এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ললিত মেহের জানান যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে নজির গড়েছেন জয় কিশোর। এই বয়সে এভাবে এমবিবিএস পড়তে আসা সত্যিই প্রশংসনীয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট অর্থাৎ নিট-এ বসেন জয় কিশোর প্রধান। এই পরীক্ষায় বসার জন্য বয়সের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই।
তাঁর প্রতিবেশিদের (NEET Success Story) অনেকে বলেন, সেই সময় তাঁর দুই যমজ মেয়ের একজনের মৃত্যু তাঁকে ডাক্তারি পড়তে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত করেছে। ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে পারিবারিক দায়িত্ব সামলে পড়াশোনা করা সহজ কাজ ছিল না জয় কিশোরের পক্ষে। তবে ডাক্তারি পড়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। নিজের সময়সূচি ঠিক করে নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন জয় কিশোর। পরে এক সাক্ষাৎকারে জয় কিশোর জানিয়েছিলেন যে ডাক্তার হওয়ার পিছনে তাঁর কোনও পেশাগত বা অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কাজ করেনি তাঁর মনে, তিনি শুধুমাত্র সেবা করতেই চেয়েছিলেন আর তাই তাঁর চিকিৎসক হওয়া। যতদিন তিনি জীবিত আছেন, ততদিন মানুষের সেবা করে যেতে চান তিনি।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI