OmDayal Group of Institutions: একুশ শতকে ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) এবং আর্কিটেকচার (Architecture)- এই দুই ক্ষেত্র ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আর তাই এই দুই ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার বিষয়টিও পড়ুয়াদের কাছে ক্রমশ লাভজনক হয়ে উঠছে। কারণ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার এই দুই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার দিকে এগোলে শিক্ষার্থীদের সামনে কর্মক্ষেত্রের একাধিক সুযোগ খুলে যাবে। শুধু তাই নয়, পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা অনুশীলনের সুযোগ পাবেন এবং নতুন যোগ্যতা নির্মাণেও সক্ষম হবেন। 


ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করার পর হয় পড়ুয়ারা উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতে থাকবেন বা বিদেশে যাবেন। কিংবা যোগ দেবেন টেক ইন্ডস্ট্রির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। টেকনোলজিতে মাস্টার ডিগ্রি অর্থাৎ এম টেক করার জন্য পড়ুয়াদের গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ গেট দিতে হবে। বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এম টেকে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষা দিতে হয়। অথবা পড়ুয়াদের দিতে হবে কমন অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট বা ক্যাট কিংবা সমতুল্য কোনও পরীক্ষা। এর মাধ্যমে ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। যদি কোনও পড়ুয়া গেট দিয়ে এম টেক করার প্রস্তুতি নেন তাহলে আগামী দিনে তাঁর সামনে গবেষণা এবং অ্যাকাডেমিক্স অর্থাৎ উচ্চতর শিক্ষার নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। আর ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ভর্তি হলে পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীরা ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, হিউম্যান্স রিসোর্স এবং সমতুল্য অন্যান্য ক্ষেত্রেও কেরিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন। 




এ তো গেলো ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ টেকনোলজি বা প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনা ও উচ্চ শিক্ষার কথা। যাঁরা আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করবেন, তাঁদের জন্যেও সুযোগ রয়েছে অনেক। আর্কিটেকচারেও মাস্টার ডিগ্রি করার ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য পড়ুয়ারা বেছে নিতে পারবেন নিজেদের পছন্দের ক্ষেত্রে। হেরিটেজ কনসারভেশন অর্থাৎ ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও আরবান প্ল্যানিং- আর্কিটেকচারের এই দুই ক্ষেত্রে মাস্টার্স করার ঝোঁক বেশি কারণ এখানে কেরিয়ার গড়ার অনেক ধরনের সম্ভাবনা থাকছে। 


যদি বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের পরিকল্পনা থাকে তাহলে পড়ুয়াদের হয় গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন বা জিআরই (GRE) পরীক্ষা দিতে হবে, যা নন-ম্যানেজমেন্ট কোর্সের ক্ষেত্রে প্র্যোজ্য। অথবা দিতে হবে গ্র্যাজুয়েট ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট বা জিম্যাট (GMAT) যা ম্যানেজমেন্ট বা সমতুল্য কোর্সের জন্য উপযুক্ত। এর পাশাপাশি বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য পড়ুয়াদের একটি ইংরেজির পরীক্ষাও দিতে হবে যাবে বলা হয় ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট। এই তালিকায় রয়েছে TOEFL অথবা IELTS- এর মতো পরীক্ষা। 


তবে দেখা যায় বি টেক বা বি আর্ক ডিগ্রি পাশ করার পরে বেশিরভাগ পড়ুয়াই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করার সম্ভাবনাই বেছে নেয়। ডিগ্রি কোর্সে থাকাকালীন যে তাত্ত্বিক জ্ঞান তাঁরা আহরণ করেন তারই হাতেকলমে পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় এইসব চাকরির মাধ্যমে। ডিগ্রি কোর্সের সংগ্রহ করা জ্ঞান আঁকড়ে ধরেই কেরিয়ার গড়ার পথে ব্রতী হন পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ।




মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র


১। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
২। এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং
৩। এরোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৪। বায়োমেডিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্লুয়িড মেকানিক্স
৫। গ্রাউন্ড ভেহিকেল সিস্টেম


সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র


১। কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
২। স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৩। হাইওয়ে অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
৪। জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৫। ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং
৬। এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৭। আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং 


ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র


১। কমিউনিকেশনস অ্যাড সিগন্যাল প্রসেসিং
২। পাওয়ার সিস্টেম
৩। কন্ট্রোল সিস্টেম
৪। মাইক্রোইলেকট্রনিক্স
৫। ইন্সট্রুমেন্টেশন
৬। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক্স 


কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্র


১। মেশিন লার্নিং অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
২। রোবোটিক্স
৩। সাইবার সিকিউরিটি
৪। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
৫। অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং
৬। ডেটা মাইনিং
৭। ডেটা সায়েন্স
৮। ডেটা অ্যানালিস্ট
৯। ইনফরমেশন টেকনোলজি 


আর্কিটেকচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে


১। ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার
২। আরবান প্ল্যানিং
৩। আরবান ডিজাইনিং
৪। রিস্টোরেশন আর্কিটেকচার 


উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আজকাল বিভিন্ন কোম্পানি এমন ধরনের পেশাদার কর্মী খুঁজছে যাঁদের সামগ্রিক ভাবে দক্ষতা রয়েছে এবং সেই সঙ্গে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একাধিক পন্থা নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কম্পপিউটার সায়েন্সের একটি ডোমেন, যা ব্যবহার করা যেতে পারে কনস্ট্রাকশন বা অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে। একইভাবে, স্থায়িত্ব বা সাসটেনেবেলিটি, যার মূল নীতিগুলি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিধির মধ্যে রয়েছে, এটি এমন একটি বিষয় যা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের পেশাদার নৈতিকতা এবং কাজের পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


আর তাই, ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনে, আমরা বিশেষভাবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এমন একটি শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছি, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে, যাতে ভবিষ্যতে পড়ুয়ারা তাঁদের পছন্দসই কর্মজীবন বেছে নিতে পারেন এবং জীবন দর্শনের সঙ্গে কাজের একটি সুষম ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। শুধু একটি ক্ষেত্রে নয় নিজেদের কর্মদক্ষতায় এবং পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেন তাঁরা কাজের উপযোগী হয়ে ওঠে সেই চেষ্টাও রয়েছে ওমদয়াল গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনের


(ডিসক্লেইমার: এই নিবন্ধটি একটি পেইড ফিচার। ABP অথবা ABP LIVE এখানে প্রকাশিত মতামতকে সমর্থন/সাবস্ক্রাইব করে না। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত সব কিছুর জন্য অথবা উল্লিখিত নিবন্ধে বর্ণিত/নির্দিষ্ট ভাবনা, মতামত, ঘোষণা, ডিক্লেরেশন, যাচাইকরণ ইত্যাদির জন্য আমরা কোনওভাবেই দায়ী থাকব না। সেই অনুসারে পাঠকদের কোনও বিষয়ে বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।)


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI