পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি প্রদান করলেন। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিতও করেন পড়ুয়াদের। এরই মধ্যে বাবা রামদেব বলেন, পতঞ্জলির প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীই কর্মসংস্থানকারী।
পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং গবেষণা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি ও স্বর্ণপদক প্রদান করেন। এই বছর ৬৪ শতাংশ স্বর্ণপদক ছাত্রী পেয়েছে। বক্তব্য রাখার সময় রাষ্ট্রপতি এই বিষয় উল্লেখ করে আনন্দ প্রকাশ করেন।
ভাষণে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “আমাদের এই মেয়েরাই ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করছে এবং উন্নত ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” তিনি ছাত্রছাত্রীদের অধ্যবসায়, সরলতা এবং কর্তব্যবোধকে জীবনের ভিত্তি হিসেবে গড়ে তোলার এবং সমাজ ও জাতির উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয় যোগ, আয়ুর্বেদ এবং আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে মহর্ষি পতঞ্জলির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
যোগ ও আয়ুর্বেদে পতঞ্জলির অবদান অতুলনীয়: রাজ্যপাল
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) গুরমিত সিং যোগ ও আয়ুর্বেদের ক্ষেত্রে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানকে অতুলনীয় বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “যোগ ও আয়ুর্বেদের মাধ্যমে পতঞ্জলি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লব এনেছে।”
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, “পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শ্রেষ্ঠ উত্তরাখণ্ড গঠনের সংকল্প পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।” তিনি নতুন শিক্ষা নীতি কার্যকর করা এবং উত্তরাখণ্ডকে গবেষণা, উদ্ভাবন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পতঞ্জলির প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীই কর্মসংস্থানকারী : বাবা রামদেব
পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং যোগগুরু স্বামী রামদেব বলেন, “পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ‘চাকরিপ্রার্থী’ নয়, বরং ‘কর্মসংস্থানকারী’।“ তিনি আরও যোগ করেন, “এখানে শিক্ষা জাতি বা ধর্মের উপর ভিত্তি করে নয়, বরং আমাদের প্রাচীন সনাতন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য কেবল শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করা নয়, বরং একটি আত্মনির্ভরশীল, দৃঢ় চরিত্রের এবং ভাল (নৈতিক) মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত সমাজ তৈরি করা।”
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে স্থান পাবে পতঞ্জলি: আচার্য বালকৃষ্ণ
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আচার্য বালকৃষ্ণ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (NAAC) থেকে ৩.৪৮ গ্রেড পয়েন্ট সহ A+ গ্রেড অর্জন করেছে। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, অনুষ্ঠানে মোট ১,৪২৪ জন ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ জন স্বর্ণপদক জয়ী এবং ৬২ জন গবেষক (পিএইচডি) ছিলেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI