সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্য সরকারের। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি বাধা রইল না।


গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ।


সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট ২ সপ্তাহের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। 


গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি প্রাথমিকে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


এরপরই তৎপর হয় শিক্ষা দফতর। বিধানসভা ভোটের মুখে গত মঙ্গলবার প্রাথমিকে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।


 



 


সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ। 


প্রাথমিকে যে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে তার কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এসএমএস বা ফোন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।


হাইকোর্টে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। 


শুনানি শেষে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। 


এরআগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।


এদিন আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর তৃণমূল সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।


প্রাথমিকে শূন্য পদে নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হয়।


যে সমস্ত প্রার্থীরা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নেন, তাঁদের কাছে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। 


আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ জন। 


এর পর সাড়ে ১৬ হাজার শূন্য পদের মধ্যে ১৫ হাজার ২৮৪ জনের নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI