কলকাতা: বহু দিন পর পুরনো ছন্দে ফিরেছে রাজ্যের স্কুলগুলি। দীর্ঘদিন পর আসতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। গত ১৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার  থেকে নবম থেকে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে গিয়েছে স্কুলের দরজা।করোনাবিধি মেনেই চালু হয়েছে ক্লাস।দিন, মাস, বছর ঘুরে শেষমেশ খুলছে স্কুল। করোনাক্লিষ্ট ঘরবন্দি পড়ুয়ারা ফের পা রেখেছে শিক্ষাঙ্গণে। আপাতত শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস।


এরইমধ্যে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে প্রতিদিন নয়, এবার স্কুলে জোড়-বিজোড়ে ক্লাস হবে। দশম ও দ্বাদশের ক্লাস হবে সোমবার-বুধবার ও শুক্রবার। নবম ও একাদশের ক্লাস হবে মঙ্গল ও বৃহস্পতিতে। শনিবার কোনও ক্লাস নয়।  সকাল ১০.৫০ থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত থাকছে ক্লাসের সময়সীমা। পাহাড়ি অঞ্চলে সাড়ে নয়টা থেকে তিনটে পর্যন্ত। 


এর আগে স্কুল পুণরায় খোলার পর  প্রতিদিনই ক্লাস হত। তবে সময় আলাদা ছিল।  সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত  ছিল সময়সীমা। এতে শিক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, এতক্ষণ পড়ুয়াদের ক্লাসে রাখার অর্থ কী! এর পরই ক্লাস নিয়ে সিদ্ধান্তের আমূল বদল ঘটানো হল। কিছুক্ষণ আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,  সপ্তাহে জোড় ও বিজোড় ভিত্তিতে ক্লাস হবে। তিন দিন করে ক্লাস হবে নবম ও একাদশ এবং দশম ও দ্বাদশের। শনিবার ক্লাস হবে না। ওই দিনটি পর্যালোচনার জন্য রাখা হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেছেন, এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে বাস্তবিক পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মনে হয়েছে স্কুল আওয়ার এখনও এতটা সময় না রেখে আরেকটু সংক্ষিপ্ত করার প্রয়োজন ছিল। তাহলে পড়ুয়ারা অনেক স্বচ্ছন্দে এই স্কুল আওয়ারে ক্লাস করতে পারত।


এএসএইচএইচের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেছেন, আরেকটু সময় নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হত। 


বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেছেন, শিক্ষা দফতরের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছে সময়টা কমিয়ে অল্টারনেট ডে-তে ক্লাস করাবে। শনিবার হচ্ছে ফিডব্যাক ক্লাস। সাধুবাদ যোগ্য সিদ্ধান্ত।


সরকারি সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারই পর্যালোচনা হয়। পড়ুয়াদের ওপর চাপ কমাতে এবং সুষ্ঠুভাবে ক্লাস সম্পন্ন করতে দিল্লির জোড়-বিজোড় ফর্মুলায় স্কুল চালুর বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI