UPSC Exam: উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবির নগরের নন্দাউর শহরের বাসিন্দা ইকবাল আহমেদের সাফল্য অনুপ্রাণিত করবে আপনাকেও। ২০২৪ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জেলার তথা গোটা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছেন ইকবাল। ইউপিএসসিতে ৯৯৮তম স্থান অর্জন করেছেন ইকবাল। তাঁর এই সাফল্য শহরে আনন্দের জোয়ার বয়ে এনেছে। বহু মানুষ দেখা করতে আসছেন তাঁর বাবার সঙ্গে, মিষ্টি আনছেন অনেকেই। তাঁর বাবা মকবুল আহমেদ আনসারির খুশিতে চোখে জল।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল ইকবালের। পরিবারে তাঁরা চার ভাই-বোন। আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। কিন্তু তাঁর মধ্যেও তার পরিবার চাইত যাতে সে পড়াশোনাটা চালিয়ে যায়। তাঁর বাবা মকবুল হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছেন। আজ থেকে ১৫ বছর আগে নন্দাউর জংশনের কাছেই রাস্তার ধারে মকবুলের একটা সাইকেল সারানোর দোকান ছিল। কিন্তু তাঁর সন্তানেরা বড় হতে শুরু করার সময় পরিবারের আর্থিক সমস্যা মেটাতে বড় ছেলে সৈয়দ আলিকে বাধ্য হয়েই রংমিস্ত্রির কাজ করতে হয়। বাড়িতে রং করার কাজ করতেন সৈয়দ। আর এভাবেই মকবুল ক্রমে তাঁর সাইকেলের দোকান বন্ধ করেন এবং বাড়িতে কাজ করতে শুরু করেন। আর ইকবাল এর মধ্যে পড়াশোনা চালিয়ে যান।

নন্দাউরে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করার পরে আরও উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ইকবাল চলে আসেন গোরখপুরে। এরপরে তিনি দিল্লিতে চলে যান সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। সেখানে অস্থায়ীভাবে লেবার ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন তিনি যাতে তাঁর থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাড় করা যায়। যদিও তাঁর চাকরিটি মোটামুটি পাকা ছিল, ইকবাল তবু ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। আর ২০২৫ সালে তিনি সফলভাবে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

ইকবালের বাবা মকবুল স্মৃতিচারণ করেন যে ঠিক কোন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে যখন সামান্য আয়ে একটা গোটা পরিবার তাঁকে চালাতে হত। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'আমি বহু কষ্ট করেছি। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। কিন্তু তবু আমরা চেয়েছি যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারে।'

ইকবালের মা কসিদুন্নিস ছেলের এই সাফল্যে অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন, আনন্দে তাঁর চোখে জল চলে আসে। তিনি জানান যেন ইকবালকে দেখে অন্য ছেলে-মেয়েরাও কষ্টের জীবন থেকেই এই সাফল্যে উপনীত হতে পারে।  


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI