IFS Mayur Hazarika: বিভিন্ন স্ট্রিম থেকে সিভিল সার্ভিসে আসেন প্রার্থীরা। কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার অন্য কোনও পেশায়। কেউ কেউ লাখ টাকার মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে শুধুমাত্র দেশসেবার ব্রতে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে। আর এই সিভিল সার্ভিসের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষা সবথেকে কঠিন পরীক্ষাগুলির একটি। IAS, IPS কিংবা IFS হওয়ার স্বপ্নে প্রতি বছর লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেন। আর যারা তাঁদের মধ্যে থেকেই নির্বাচিত হয়ে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে (IFS Mayur Hazarika) তাঁদের লড়াইয়ের কাহিনি প্রেরণা যোগায়। তেমনই প্রেরণা জোগাবে অসমের ময়ূরের কাহিনি। এমবিবিএস পড়তে পড়তেই সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসেন ময়ূর এবং প্রথম প্রয়াসেই সারা দেশে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন ময়ূর হাজারিকা।


ময়ূরের মেডিকেল পড়া 


ময়ূর পরে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মেডিকেল পড়ার আগে থেকেই সিভিল সার্ভিসের প্রতি ঝোঁক ছিল ময়ূরের। কিন্তু ২০১৫ সালে সঠিক গাইডেন্সের অভাবের কারণে অধ্যয়নের জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন মেডিকেল সার্ভিসকে। তারপর এমবিবিএস পড়ার তৃতীয় বর্ষে এসে সিভিল সার্ভিস (IFS Mayur Hazarika) পড়ার ইচ্ছা আরও বাড়তে থাকে ময়ূরের এবং তখনই তিনি নতুন করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। স্বপ্নকে অনুসরণ করেন ময়ূর।


কেন এলেন সিভিল সার্ভিসে


এখন অসমের তেজপুরে থাকেন ময়ূর। গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ থেকে তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন ময়ূর। ২০২০ সালে স্নাতক হন তিনি। দেশের সেবা করার প্রবল ইচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার তাগিদই তাঁকে পরীক্ষায় বসতে অনুপ্রাণিত করেছিল। বিভিন্ন বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করার প্রবল ইচ্ছা থেকে IFS অফিসার পদে কাজ করতে আসেন তিনি।


কীভাবে প্রস্তুতি


ইউপিএসসির প্রস্তুতির পাশাপাশি ডাক্তারিও করে গিয়েছেন ময়ূর (IFS Mayur Hazarika)। নগাঁওতে একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে ডাক্তারি করেছেন তিনি। আর এই গ্রামীণ হাসপাতালে থাকার সময়ই তিনি যোগ দেন অনলাইন জিএস ফাউন্ডেশনে। যেহেতু কাজ করতে করতে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে তাঁকে, তাই তাঁর কাছে সময়ের অনেকটাই অভাব ছিল। ফলে সেলফ স্টাডির উপরেই জোর দিতেন তিনি। তাছাড়া অর্থনীতি, বৈদেশিক সম্পর্ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে অনলাইন ক্লাস থেকে গাইডেন্স পেতেন ময়ূর।


সাফল্য এল ময়ূরের 


তেজপুরে ডন বসকো হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন ময়ূর (IFS Mayur Hazarika), তারপর তিনি ভর্তি হন রামানুজন জুনিয়র কলেজে। তাঁর বাবা-মা ও বোনের সঙ্গেই থাকেন ময়ূর। তাঁর বাবা পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং মা একজন গৃহকর্ত্রী। ২০২২ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন ময়ূর আর সেই প্রথম প্রয়াসেই তিনি সারা দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন ময়ূর হাজারিকা। এমনকী সেই বছর প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র পুরুষ পরীক্ষার্থী।


আরও পড়ুন : IAS Success Story: সাইকেল সারিয়ে সংসার চালাতেন, দারিদ্র্য সয়েও আজ সফল IAS বরুণ- কতটা লড়াই ছিল ?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI