IAS Varun Baranwal: সাহস, আবেগ আর প্রবল আত্মবিশ্বাসের জীবন্ত উদাহরণ তিনি। খুবই সাধারণ পরিবারে বেড়ে ওঠা, আর্থিক টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে আইএএস (IAS Success Story) হয়ে উঠেছেন তিনি। সারা দেশের মধ্যে আকর্ষণীয় র‍্যাঙ্ক করে নজির সৃষ্টি করেছেন মহারাষ্ট্রের বরুণ। বরুণ বারানওয়াল। একজন সামান্য সাইকেল কারিগর থেকে সফল আইএএস হয়ে উঠেছেন তিনি। জানেন তাঁর জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি ?


খুব সাধারণ নম্র ভদ্র পরিবার থেকে বড় হয়ে উঠেছেন বরুণ বারানওয়াল (IAS Varun Baranwal)। মহারাষ্ট্রের বইসারে বেড়ে উঠেছেন বরুণ। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন একজন সাইকেল মেরামতকারী। তিনিই ছিলেন তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। ২০০৬ সালে আকস্মিকভাবেই বরুণের বাবার মৃত্যু ঘটে। তাঁদের পরিবারের (IAS Success Story) আর্থিক সংস্থান জুটতো এই সাইকেল সারানোর দোকান থেকেই। তাই পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হন বরুণ। শুরু করেন সাইকেল মেরামতির কাজ। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হতেই চাইতেন বরুণ। বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা পাট চুকিয়ে সাইকেল মেরামতির কাজে নামেন তিনি, দশম শ্রেণির পড়া শেষ করেছিলেন বরুণ।


পরে বরুণের মা সেই দোকানের দায়িত্ব নেন এবং বরুণকে ফের পড়াশোনা শুরু (IAS Success Story) করার প্রেরণা জোগান। কিন্তু একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রচুর অর্থের দরকার ছিল বরুণের। সেই টাকা ছিল না তাঁদের পরিবারে। ফলে আবার চিন্তায় পড়তে হয় বরুণকে (IAS Varun Baranwal)। কিন্তু উদ্দেশ্য সৎ হলে ঠিকই সাহায্য জুটে যায়। যে ডাক্তার তাঁর বাবার চিকিৎসা করেছিলেন, এবার তাঁর পরিবারের এমন দুর্দিনে তিনিই ১০ হাজার টাকা দিয়ে বরুণের পড়াশোনার খরচ মেটান।


প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর মেডিকেল পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন বরুণ বারানওয়াল, কিন্তু মেডিকেল পড়া অনেক ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেন বরুণ। পুনের এমআইটিতে ভর্তি হন বরুণ এবং স্কুল থেকে বৃত্তি পাওয়ার জন্য তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং কেরিয়ারের প্রাথমিক পর্বে অনেক চেষ্টা করেছিলেন বরুণ। পরে একটি স্কুলবৃত্তির সাহায্যে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করতে সক্ষম হন তিনি।


ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর একটি মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানিতে চাকরি পান বরুণ বারানওয়াল (IAS Varun Baranwal)। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন সরকারি চাকরির মাধ্যমেই নিজের কর্মজীবন গড়ে তুলতে। আর তাই ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন বরুণ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে স্টাডি মেটেরিয়াল পেয়েছিলেন বরুণ। ২০১৬ সালে প্রথমবার পরীক্ষায় বসেন তিনি এবং প্রথবারেই সারা দেশে ৩২ র‍্যাঙ্ক অর্জন করে ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হন বরুণ বারানওয়াল।


আরও পড়ুন: NEET Success Story: অবসরের পর নতুন করে শুরু, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপূরণে ৬৪ বছরেও নিট উত্তীর্ণ জয় কিশোর


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI