Santosh Kumar Patel: কথায় বলে সাফল্যের কোনও বিকল্প হয় না। যে সমস্ত মানুষ তাদের জীবনে নানারকম বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে আসে, কিন্তু হাল না ছেড়ে লড়াই (Success Story) করে যায় তাদের কাছে সাফল্য অবধারিতভাবেই আসে। যে ক্ষেত্রে সুযোগ কম, প্রতিযোগী অনেক সেখানে কঠোর পরিশ্রম আর নিজের আত্মবলিদানের (Santosh Kumar Patel) মাধ্যমেই ভাগ্য বদলে যায় আর এভাবেই নিজের ভাগ্য নিজে বদলে ফেলেছেন সন্তোষ কুমার প্যাটেল। সমস্ত প্রতিকূলতা, সমস্ত দারিদ্র্যকে অতিক্রম করে সন্তোষ কুমার প্যাটেল ডিএসপি (DSP Santosh Kumar Patel) হয়েছেন। কীভাবে এল এই সাফল্য ?
মধ্যপ্রদেশের এক অখ্যাত গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্ম হয় সন্তোষের। থাকতেন একটা ছোট্ট কুঁড়েঘরে, জীবনধারণের মৌলিক চাহিদাগুলিই তখন অপ্রতুল ছিল। কিন্তু শিক্ষার প্রতি পরম অনুরাগ ছিল তাঁর, ছিল নিজেকে বদলানোর বজ্রকঠিন ইচ্ছে। আর সেভাবেই নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে একজন পাথরভাঙা শ্রমিক থেকে সন্তোষ ক্রমে ক্রমে একজন সাব ডিভিশনাক অফিসার এবং পরে ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশের পদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
সন্তোষ আর তার ভাই-বোনেরা একটাই কুঁড়েঘরে কষ্টে দিনযাপন করতেন। প্রায়দিনই সন্তোষের স্টাডি মেটেরিয়াল জলে ভিজে নষ্ট হয়ে যেত, বৃষ্টিতে ভিজে যেত। কেরোসিনের আলো ছাড়া পড়াশোনা করার অন্য কোনও উপায় ছিল না তাঁর। ধার করে আনা গমের রুটি, কোনওদিন একটু তরকারি এই খেয়েই দিন চলত তাঁর। ধার করেই চলত তাদের সংসার।
আর তাই ছোটবেলা থেকেই পরিবারকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করার জন্য পাথরভাঙার কাজও করতে হয়েছে তাঁকে। আর সেই সময়েই তিনি বুঝতে পারেন একমাত্র পড়াশোনা করলেই তাদের এই দারিদ্র্য দূর হওয়া সম্ভব। পড়াশোনায় মেধাবী হওয়ার দরুণ পরীক্ষায় তিনি জেলার মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করেন। তারপর শুরু হয় সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি। মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন এবং এই পরীক্ষা পাশ করেই পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ২০১৭ সালে সেই পরীক্ষায় পাশ করে ২০১৮-তে চাকরিতে যোগ দেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Recruitment News: ভারতীয় রেলে চাকরির সুযোগ, কোন পদে হবে নিয়োগ? শূন্যপদই বা কত?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI