কলকাতা: দরিদ্র পরিবার। প্রতিদিনই খাবার সংস্থানই ছিল লড়াই। কিন্তু চোখে স্বপ্ন ছিল, আর সেই কারণেই শত অসুবিধা সত্ত্বেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরিশ্রমের ফলও মিলেছে, সম্প্রতি JEE Mains-এর ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানে ৭৩.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুচিরাপল্লির বাসিন্দা এম রোহিনী। শুধু তাই নয়, প্রথম আদিবাসী পড়ুয়া হিসেবে ভর্তি হয়েছেন ত্রিচি ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (Trichy National Institute of Technology), খবর ANI সূত্রে।


ANI-সূত্রের খবর, Trichy NIT-তে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছেন রোহিনী। ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তিনি আদিবাসী সমাজের এক পড়ুয়া, তিনি সরকারি আদিবাসী স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি JEE পরীক্ষায় বসেছিলাম। ৭৩.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছি। NIT Trichy তে আসন পেয়েছি আমি। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নিয়েছি।'


এই সাফল্যের জন্য় তাঁর স্কুলের প্রধানশিক্ষক এবং অন্য়ান্য শিক্ষককে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন তিনি। ANI-কে রোহিনী জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু সরকার তাঁর ফি দিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে। এই কারণেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে (MK Stalin) ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোহিনী। তিনি বলেন, 'আমি যা ফল করেছি সেটা প্রধানশিক্ষক এবং স্কুলের সবার জন্য হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি ধন্য়বাদ জানিয়েছি আমার ফি দিয়ে দেওয়ার জন্য।'


অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে আসা রোহিনীর এই সাফল্য বহু দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। শুধু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী জনগোষ্ঠী নয়, সামগ্রিক ভাবে পড়ুয়াদের কাছেই রোহিনীর লড়াই দৃষ্টান্ত হতে পারে।        


 






তিরুচিরাপল্লির চিন্না ইল্লুর গ্রামের বাসিন্দা এম রোহিনী। তাঁর বাবা-মা পেশায় দিনমজুর। রোহিনী নিজেও দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছেন। সেইভাবেই সংসার চলেছে, আর তার ফাঁকেই নিয়েছেন প্রস্তুতি। কীভাবে সাফল্য এল? ANI-কে রোহিনী বলছেন, 'আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি। তারপরেই Trichy NIT-তে সুযোগ পেয়েছি।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে মাথায় বুলেট-ক্ষত, একটি চোখ নষ্ট! তারপরেও IAS! কীভাবে?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI