নয়াদিল্লি: কোচিং সেন্টারে ভর্তি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সঙ্গে কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীর বয়সও বেঁধে দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কোচিং সেন্টারগুলিতে ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ১৬ বছর বয়সের নিচে কোনও পড়ুয়াকেই ভর্তি নিতে পারবে না কোচিং সেন্টারগুলি। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির কোচিং-এ ভর্তি হতে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করতে হবে যেকোনও ছাত্র-ছাত্রীকে। 


মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা সর্বভারতীয় জয়েন্ট, নেট, সেট-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছেলে-মেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠান অভিভাবকেরা। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি জোর কদমে চলতে থাকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলির প্রস্তুতি পর্ব। সেই মতো কর্তৃপক্ষগুলিও গালভরা একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিসহ বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে প্রচার করেন। অনেক কোচিং সেন্টারে অতিরিক্ত টিউশন ফি নেওয়ারও খবরও শোনা যায়। আর এতকিছুর পর আশাজনক সাফল্য না পেয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ছাত্রছাত্রীরা। বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, কোচিংয়ে সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং তাদের গৃহীত শিক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে সরকারের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তারপরেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক।  


কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?


নাম নথিভুক্তের শর্ত:




    • শিক্ষকদের ন্যূনতম স্নাতক হতে তবে। অন্য়থায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করা যাবে না। শিক্ষকদের মান উন্নত হতে হবে।

    • ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য বিভ্রান্তিকর কোনও প্রতিশ্রুতি বা র‌্যাঙ্ক করানো বা ভাল নম্বরের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।  

    • ১৬ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি করা চলবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই কোচিং ভর্তি নিতে পারবে

    • প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ন্যূনতম স্থান প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকলে তাও রেজিস্টার করে জানাতে হবে।

    • প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোচিংয়ের মান, সুযোগ-সুবিধা বা কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কিত কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। 

    • কোচিং সেন্টার ভর্তি হওয়া প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করবে।

    • ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে কেরিয়ার গাইডেন্সের পাশাপাশি  কাউন্সেলিং-এরও ব্যবস্থা করতে হবে।

    • প্রতিটি কোচিং সেন্টারে ফাস্ট-এড, ন্যূনতম  চিকিৎসা পরিষেবা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পানীয় জল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।









পাশাপাশি পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এক্সিট পলিসিও রাখতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকায়। সেখানে বলা হয়েছে, যদি কোনও ছাত্র বা ছাত্রী কোচিং সেন্টার ছেড়ে দিতে চান তাহলে কী নিয়ম মেনে তাকে কোর্সের টাকা ফেরত দিতে হবে। কীভাবে এই পর্ব সম্পূর্ণ করতে হবে তাও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। শেষ নয় এখানেই। সেন্টারগুলিকে বিভিন্ন কোর্সের ফি বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। টিউশন ফি সংক্রান্ত রশিদ পড়ুয়া বা তাদের অভিভাবকদের দিতে বলা হয়েছে। কতগুলি ক্লাসের জন্য ওই ফি নেওয়া হচ্ছে, কোনও হস্টেলের সুবিধা রয়েছে কিনা এগুলিও রশিদে উল্লেখ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রক।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI