কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: অবশেষে রাজ্যে কলেজে ভর্তির জন্য উদ্বোধন করা হল কেন্দ্রীয় পোর্টাল (Online Portal)। ২৪ জুন থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ আসনে অনলাইনে ভর্তির (WB College Admission) আবেদন করা যাবে। সর্বাধিক ২৫টি বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। কলেজে ভর্তিতে স্বচ্ছতা আনতে পোর্টাল বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 


উদ্বোধন করা হল কেন্দ্রীয় পোর্টাল: ভাবনার এক দশক পর, অবশেষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ভর্তিতে পথ চলা শুরু হল কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের। কলেজে ছাত্র সংসদের দাদাগিরি থেকে টাকার বিনিময়ে ভর্তির ভুরি ভুরি অভিযোগ। শিক্ষাবিদদের একাংশ বারবার বলেছেন, পড়ুয়ার স্বশরীরে ক্য়াম্পাস এড়িয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন প্রক্রিয়াই এই রোগের অন্যতম ওষুধ। শুরু করব বলেও, একাধিকবার হোঁচট খেয়ে অবশেষে বুধবার স্নাতকে ভর্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির ঘোষণা করল রাজ্য় সরকার। ২৪ জুন থেকে খুলছে ভর্তির পোর্টাল। রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্য়ালয়, ৬৬১টি কলেজে, ৭ হাজার ২১৭টি কোর্সে ভর্তি হবে এই পোর্টালের আওতায়। তবে, প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় এর বাইরে থাকছে। একজন পড়ুয়া সর্বাধিক ২৫টি কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। প্রথম দফার শেষে শূন্য আসন থাকলে, দ্বিতীয় দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে।


শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "অসচ্ছতার অভিযোগ আসছিল। অভিভাবকদের বাড়তি খরচ করতে হচ্ছিল। আসন খালি থাকত। সেইসব নিরাময়ের জন্য এটা করা হল। হাইকোর্টের নির্দেশে পরেও বাতিল ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়েও আবেদন করা যাবে। শুধুমাত্র ভর্তির জন্য টাকা লাগছে এবং ভর্তির জন্য়ে টাকা লাগছে মানেই যে ধরা যাক যে আবেদন করেছে, ও হয়ত ফিজিক্স নিয়ে আবেদন করে টাকাটা দিয়েছে ক কলেজে। খ কলেজে পরে কেমেস্ট্রি নিয়ে পড়তে যায় পেয়ে গেছে। কেমেস্ট্রি নিয়ে পড়তে যাওয়ার আবেদন মানে কোর্স ফি-টা হয়ত একটু বেশি ফিজিক্সের থেকে। সে অতিরিক্ত টাকাটা তাকে দিতে হবে। আবার কেমেস্ট্রি নিয়ে পড়ার জন্য ফিজিক্সের থেকে তার জন্য যদি কম কোর্স ফি হয়, তাহলে টাকাটা তার অ্য়াকাউন্টে আবার ব্যাকও করিয়ে দেওয়া হবে। একটাই অ্যাডমিশন ফি। সিঙ্গল অ্য়াডমিশন ফি। আগে যে একজন ছাত্র ৪-৫টা জায়গায় সিট ব্লক করে রাখতে পারতেন, এইটার পর আর তিনি আর পারবেন না।

২০১১ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষামন্ত্রী হন ব্রাত্য বসু। ২০১৩ সালে কলেজে ভর্তিতে কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালুর ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। ২০১৪ সালে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ভাবনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। শোনা যায়, এর নেপথ্য়ে ছিলেন তৎকালীন এক ছাত্র নেতা এবং শাসক দলের একাধিক নেতার। এরপর ২০১৪ সালে ব্রাত্য বসুর হাতে থাকা শিক্ষা দফতর দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। ২০২১ সালে তৃতীয় তৃণমূল সরকারে ফের শিক্ষামন্ত্রী হন ব্রাত্য বসু। ২০২২ এবং ২০২৩-এও এই কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালুর ভাবনা-চিন্তা হলেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি।


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI