কলকাতা: পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা দিয়েছে সাড়ে ৭ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। এদিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এ বছর মেধা তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছে মালদার অভিষেক গুপ্ত, যার প্রাপ্ত নম্বর ৮৯৪। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র সে। 


২০২২ এর মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিলেন অভিষেক গুপ্ত। মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়ে মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা অভিষেক গুপ্ত বলেছিল, সে ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায়। সেই লক্ষ্য রেখেই পড়াশুনো করে সে। উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়ে লক্ষ্যপূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেল নিজেকে। মাধ্যমিকে ৬৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে এই পড়ুয়া ৷                                       


মাধ্যমিকে তার এই সাফল্যে বাবা-মা, স্কুল শিক্ষক, গৃহশিক্ষকের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছিল এই কৃতী ছাত্র ৷ অভিষেকের বাবা শিবশান্ত গুপ্ত স্থানীয় একটি নার্সিংহোমের কর্মী ৷ মা অনামিকা সাহা গুপ্ত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ৷ গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি তাঁর কাছেও পড়াশোনা করত অভিষেক।              


আরও পড়ুন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, পাশের হার ৯০ শতাংশ


এদিন এবিপি আনন্দকে অভিষেক গুপ্ত বলেন, 'আমি মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিলাম। এবার তৃতীয় হয়েছি উচ্চ মাধ্যমিকে। আরেক ধাপ এগোতে পেরেছি খুব ভাল লাগছে। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চাই। কম্পিউটার সায়েন্স বা ডেটা সায়েন্স নিয়ে এগোতে চাই। বাবা-মা খুবই আনন্দে। আমি বরাবরই একটু গম্ভীর। পড়াশুনোর বাইরে গল্প, সাহিত্য , অঙ্ক এর বই পড়তাম। অঙ্ক আমার খুব প্রিয় বিষয়।'


নিজের পড়াশোনা ও স্কুল নিয়ে অভিষেক বলেন, 'অঙ্ক নিয়ে অনেকে ভয় পায়, অনেক্র বেসটা ক্লিয়ার রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে গেলে অঙ্কটা প্রয়োজন। আমাদের স্কুলে সেই দিকগুলো দেখা হত। পড়াশোনার পাশাপাশি সার্বিক উন্নতির দিকেও নজর দেওয়া হত। ধাঁচটা একটু অন্যরকম তো বটেই। ভারতীয় সংস্কৃতি আলাদা বিষয় ছিল। চরিত্র গঠনের নেপথ্যেও স্কুল একটি বড় জায়গা।' 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


 


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI