কলকাতা: চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হলেও এখনও অধরা রেজাল্ট। ফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন ও বিরক্ত রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রে খবর, কিছুদিনের মধ্যে ফল প্রকাশের তারিখ জানানো হবে। 

সর্বভারতীয় প্রবেশিকা JEE মেনস, এমনকী JEE অ্যাডভান্সের ফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশিত হবে? তার কোনও সদুত্তর মিলছে না। ২৭ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয়। দু'মাস পেরোতে চলল। এখনও রেজাল্ট বেরোল না। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয়েছিল, ফল প্রকাশিত হয় ১৭ জুন। ২০২৩ সালেও পরীক্ষা হয় এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে। ২৬ মে ফল প্রকাশিত হয়। ২০২৪ সালে রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষা হয় ২৮ এপ্রিল। ফল প্রকাশিত হয় জুন মাসের ৬ তারিখে। এই পরম্পরা ভেঙে এই বছর এখনও অধরা রেজাল্ট। যার জেরে উদ্বিগ্ন রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষার্থীরা। ৯৭.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে ISC পরীক্ষায় পাস করে জয়েন্টে বসেন গড়িয়ার বাসিন্দা দীপ্র মাইতি। যাদবপুরে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও জয়েন্টের রেজাল্ট বেরোতে দেরি হওয়ায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তিনি। ISC পরীক্ষায় পাস করে জয়েন্টে বসেছিলেন ঢাকুড়িয়ার বাসিন্দা দেবাঞ্জন সেন। রেজাল্ট বেরোতে দেরি হওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। জয়েন্ট পরীক্ষার্থী দেবাঞ্জন সেনের প্রশ্ন, রেজাল্ট বেরোতে দেরি হবে কেন? বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। রেজাল্ট বেরোতে দেরি হওয়ার দায় কার? এখন শুধু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দই থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, সমস্যার মূল কারণ, OBC সংরক্ষণ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না করা। রাজ্য় সরকারের নতুন OBC-বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর থেকেই রাজ্য জয়েন্টের OBC-র মেধা তালিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু, আইনজীবীরা স্পষ্টই বলছেন, এমনটা তো হওয়ার কোনও কারণই নেই! কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশনামায় স্পষ্টই উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের আগে যে ৬৬টি জনগোষ্ঠী তালিকায় ছিল, তাদের ক্ষেত্রে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। ২০১০ সালের আগের তালিকা অনুযায়ী, এই ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে OBC হিসেবে বিবেচনা করে, নিয়োগ বা ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে কোনও বাধা নেই। কলকাতা পুরসভার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, কোনও নিয়োগ, কোনও ভর্তি অযথা বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই। ডিভিশন বেঞ্চ তার নির্দেশে, স্পষ্ট করে বলেছে যে, ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে এবং ৭ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি মেনে কাজ করুন। এই প্রেক্ষিতে ওবিসি মামলার আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলছেন, এরপরও রাজ্য় সরকার অবস্থান স্পষ্ট করছে না কেন? কেন ছাত্রী-ছাত্রীদের দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে? OBC মামলার আইনজীবী বিক্রম বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, "হাইকোর্টের বিষয় নেই। অর্ডারে বলেই দিয়েছে, ২০১০ সালের আগের বিধি অনুযায়ী নিয়োগ করতেই পারে। হাইকোর্ট সিঙ্গল বেঞ্চও কনফার্ম করেছে।'' 

 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI