কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : গতবছর মাধ্যমিকে পাসের হার ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ। যা এবারে বেড়ে ১০০ শতাংশ। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ ৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। প্রথম হয়েছেন ৭৯ জন। একঝলকে এবারের মাধ্যমিকের ফলাফলের নির্যাস এমনটাই। করোনা আবহে বাতিল মাধ্যমিকের যে ফলাফল কার্যত নজিরবিহীন। একদিকে যখন ১০  লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪৯ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মুখে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার ফল নিয়ে চওড়া হাসি, তেমন অন্যদিকে শিক্ষাবিদদের একাংশের কপালে আবার চিন্তার ভাঁজ। একাংশের অভিযোগ, এটা আসলে স্কুলের নম্বর সিন্ডিকেটের প্রতিফলন। আবার একাংশের আশঙ্কা একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়াদের ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে। তবে সব আশঙ্কা ছাপিয়ে আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে না হওয়া পরীক্ষার নম্বর মূল্যায়ন।


মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নবমের বার্ষিক পরীক্ষা ও দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ৫০-৫০ শতাংশ নিয়ে এবারের মাধ্যমিকের নম্বর স্থির করা হবে। কিন্তু ঠিক কীভাবে হয়েছে এই নম্বর মূল্যায়ন? এক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে নবমের বার্ষিকে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের অর্ধেক ও দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বরের পাঁচ গুণ হিসেব করে মাধ্যমিকের নির্দিষ্ট পরীক্ষার নম্বর স্থির করা হয়েছে। একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বোঝানো যাক।


ধরা যাক, নবমের বার্ষিক পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী ভূগোলে পেয়েছিল ৮০ নম্বর। আর এবারে দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে সে ১০ নম্বরের মধ্যে ৯ নম্বর পেয়েছে। সেক্ষেত্রে এবারের মাধ্যমিকে সেই পরীক্ষার্থীর ভূগোলে প্রাপ্ত নম্বর হবে ৮৫। এক্ষেত্রে নবমের বার্ষিকে সেই পড়ুয়া যে নম্বর পেয়েছিল, তার অর্ধেক যুক্ত হবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ৮০-র অর্ধেক ৪০ নম্বর। তাই নবমের প্রাপ্ত নম্বরের অর্ধেক অংশে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০। আর দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে সে যে নম্বর পেয়েছে, তার ৫ গুণ যুক্ত হবে বাকি অর্ধেক অংশে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ৯-র পাঁচ গুণ ৪৫। তাই দুটি নম্বর যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে ৮৫।


কীভাবে এবারে মাধ্যমিকের নম্বর মূল্যায়ন-



  • নবমের বার্ষিক পরীক্ষা ও দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ৫০-৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিকের নম্বর মূল্যায়ন

  • নবমের বার্ষিকে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের অর্ধেক ও দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নম্বরের পাঁচ গুণ হিসেব করে মাধ্যমিকের নির্দিষ্ট পরীক্ষার নম্বর স্থির করা হয়েছে

  • ধরা যাক, নবমের বার্ষিক পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী ভূগোলে পেয়েছিল ৮০ নম্বর।

  • তার অর্ধেক যুক্ত হবে মাধ্যমিকের নম্বর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ৮০-র অর্ধেক ৪০ নম্বর।

  • পাশাপাশি ধরা যাক, ওই পরীক্ষার্থী দশমের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে সে ১০ নম্বরের মধ্যে ৯ নম্বর পেয়েছে।

  • ফলে মাধ্যমিকের নম্বর বিভাজনের জন্য ৯-র পাঁচ গুণ অর্থাৎ ৪৫ নম্বর পাবে সে।

  • তাই নবম শ্রেণিতে ভূগোলে ৮০ ও দশমে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে ৯ পাওয়া কোনও পড়ুয়া মাধ্যমিকে ভূগোলে পাবে ৮৫ নম্বর।



সঙ্গে রইল, একঝলকে মাধ্যমিকের ফলাফল দেখার পদ্ধতি-



  • প্রথমে wb10.abplive.com ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।

  • ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

  • এরপর ১০ডিজিটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে। 

  • তারপর দিতে হবে ডেট অফ বার্থ। 


 


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI