মোহন দাস, হুগলি: হুগলির খানাকুলে বিজেপির দুই স্থানীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ওই ঘটনা ঘটে খানাকুলের বালিপুর এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, দলের এক মণ্ডল সভাপতি ও জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার এক সদস্য দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে। অভিযোগ, প্রথমে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো হয়। তারপর লাঠি, রড দিয়ে মারধর করা হয় দুজনকে। আহত দু’জনকে ভর্তি করা হয়েছে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। বিজেপি রাজ্যের শাসক দলের দিকে এই ঘটনায় আঙুল তুললেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শনিবার বিজেপি নেতা বাবু মাস্টারের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সেদিন রাতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ির দুর্ঘটনায় উঠেছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সেসবের রেশ কাটার আগেই, ফের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল হুগলির খানাকুলের বালিপুর।
বিজেপির দাবি, রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শান্তনু পাল ও সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্য সওকত আলি। অভিযোগ, সেসময় তাঁদের ঘিরে ধরে ১৫-২০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। প্রথমে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তারপর লাঠি দিয়ে দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শান্তনু পালের অভিযোগ, ‘আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন মারধর করে। আমাদের ঘেরাও করে বেধড়ক মারধর করা হয়।’
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়ের দাবি, ‘আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। আমরা এসব করি না। এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’
বিধানসভা নির্বাচনের এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই রাজনৈতিক হিংসায় তেতে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।