পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinpur) দাঁতন (Dantan) ২ নম্বর ব্লকের সাবড়ায় রাস্তায় আটকে সিপিএম প্রার্থী-সহ (CPM Candidate) ৩ জনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার। অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি। সাবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) সিপিএম প্রার্থী সত্যেন দাসের অভিযোগ, বারবার মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল। নতিস্বীকার না করাতেই গতকাল ৩০-৪০ জন তৃণমূল কর্মী হামলা চালায়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সিপিএমের কোনও সংগঠন নেই, হারবে জেনে নিজেদের মধ্যে মারামারির দায় আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে বেলদা থানার পুলিশ।
অশান্তি চলছেই...
প্রাথমিক ভাবে যা শোনা যাচ্ছে, তাতে সিপিএম প্রার্থী-সহ ৩ জনকে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বাম প্রার্থীর দাবি, তৃণমূলের চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করাতেই এই হামলা। শাসকদল সেই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। প্রসঙ্গত, বাম কর্মী-সমর্থকদের এবার বিজেপিকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'পাটনায় সীতারাম ইয়েচুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফিসফ্রাই খেয়েছেন। আপনাদের ভোট দেওয়া মানে চোর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বি টিম সিপিএম এবং কংগ্রেস। দিল্লিতে কংগ্রেসের বি টিম হল তৃণমূল ও সিপিএম', স্পষ্ট দাবি বিরোধী দলনেতার। সঙ্গে মনে করিয়েছেন, 'কেরলে আবার মুখোমুখি সিপিএম এবং কংগ্রেস। একমাত্র বিজেপির কোনও সেটিং নেই।' এর আগেও আরামবাগে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সিপিএমের মহিলা প্রার্থীকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সে বার। ভাঙচুর করা হয় সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি, লাঠি-বাঁশ নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। সে বারও সন্দেহের তির ছিল তৃণমূলের দিকে। সপ্তাহখানেক আগেই আবার বাদুড়িয়ায় সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বৈঠকের সময় হামলার অভিযোগ ওঠে। রড-লাঠি নিয়ে মারধরের অভিযোগে সে বার সন্দেহের তির ছিল তৃণমূলের দিকে। জখম ৪ সিপিএম কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় যাঁদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ২ জন।
এবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই তুমুল অশান্তির সাক্ষী ছিল রাজ্য। বিরোধী শিবিরের মতো শাসকদলের নেতাকর্মীরাও আক্রান্ত হন এতে। যেমন, রাজ্যপালের কোচবিহার সফর চলাকালীনই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার গীতালদহ। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানকে বেধড়ক মারধর, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে নির্দল প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীকে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত।
আরও পড়ুন:সকন্যা তিহাড়ে অনুব্রত, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি-কার্যালয়, বীরভূমে বৈতরণী পার হবে তৃণমূলের!