কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বড় ঢপ দিয়েছিলেন! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে ছোট ঢপ দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা! পঞ্চায়েতের তরজায় এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু করারও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে সুর চড়া করছে বিজেপিও (BJP)।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'যারা ৬ মাস আগে বাংলার মানুষকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নিয়েছে বলে ভিখারি বলে অপবাদ দিয়েছে, তাদের কাছে হঠাৎ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখন ভগবানের প্রসাদ হয়ে গেছে।'
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে লড়াই অব্যাহত। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ক্ষমতায় এসে তা চালু করেন তিনি। শুরুতে এই প্রকল্প নিয়ে বিজেপি নেতাদের মুখে কটাক্ষের সুর শোনা গেলেও, এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁরাই হাতিয়ার করছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বিজেপির সরকার তৈরি করুন, ৫০০-১০০০'এর গল্প নেই। ২ হাজার করে দেব। ২ হাজার করে দেব'। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মাত্র ৫০০ টাকা দিচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ওতে কি সংসার চলে। আরে বিজেপি আসবে। ২ হাজার টাকা করে দেবে।'
এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির প্রতিশ্রুতি নিয়ে বুধবার ফের সুর চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মোদিজী বলেছিল, আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে। ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন। পেয়েছেন? আর সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে এখন প্রতিযোগিতা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে। কে বেশি ঢপ মারবে। প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পদের মর্যাদা রেখে বড় ঢপ মারছে। আর বিরোধী দলনেতা তার পদের মর্যাদা রেখে ছোট ঢপ মারছে।'
আপাতত সব দলই চেষ্টা করছে ঘরের লক্ষ্মীদের মন জয় করতে। শেষপর্যন্ত কী হবে, তা অবশ্য বোঝা যাবে পরের মঙ্গলবার ব্যালট বাক্স খুললেই।
আরও পড়ুন, কালীঘাটে কালী দর্শনে এসে নাকি সারদাদেবীর সঙ্গে ঘটেছিল গায়ে কাঁটা দেওয়া ঘটনা !