তারাপীঠ: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে হাত তুলে নিলেও, গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে বরাবরই থেকেছে তৃণমূল। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অনুব্রতর সমর্থনে গলা চড়িয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী মরশুমে এবার অনুব্রতর সমর্থনে এগিয়ে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। তাঁর দাবি, বিজেপি-তে যাননি বলেই জেলে রয়েছেন অনুব্রত। অনুব্রত  গ্রেফতার হলেও, এখনও বন্ধ হয়নি গরুপাচার।


অনুব্রতহীন বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে এবার কঠিন পরীক্ষা তৃণমূলের সামনে। বুধবার সেখানে পৌঁছেছেন অভিষেক। তারাপীঠে এদিন দলীয় সাংগঠনিক বৈঠকেও অংশ নেন তিনি। আর সেখানে দাঁড়িয়েই অনুব্রতর সমর্থনে মুখ খুললেন তিনি। অভিষেক বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল যদি বিজেপি-তে চলে যেতেন, তাহলেই ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে যেতেন। বিজেপি-তে যাননি তাই জেল খাটছেন। যেভাবে অজিত পওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, নারায়ণ রানেরা বিজেপি-তে গিয়েছেন, অনুব্রত গেলে তিনিও ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে যেতেন।"


অনুব্রতকে যেখানে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে, তাঁর অনুপস্থিতিতেও কী করে গরুপাচার চলছে, এদিন প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, "গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাসের পর মাস জেলে রয়েছেন অনুব্রত। তার পরও গরুপাচার চলছে। ১০ দিন আগে মেমারিতে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে গরু আসছিল। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ধরেছে। অথচ বিজেপি-র একটা লোককেও তলব করলে, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেবে। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার সরকারে তো তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি নেই? দুই রাজ্যেই বিজেপি-র সরকার, উত্তরপ্রদেশে একক ভাবে, বিহারে জোটে। কিন্তু যোগী বা নীতীশকে ক'বার তলব করা হয়েছে? এটাই বিজেপি-র ওয়াশিং মেশিন।"


আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2024: ১০৮ শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে কীর্তি


১৩ মে চতুর্থ দফায়, বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ, তার আগে এদিন বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। স্থানীয় একটি হোটেলে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে  দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তাও দেন তিনি। অভিষেক জানিয়েছেন, লোকসভায় ফল খারাপ হলে সরতে হবে সংশ্লিষ্ট জায়গার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সরতে হবে। 


 অভিষেক যে কড়া বার্তা দিয়েছেন, বৈঠকের পর বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় নিজেও সেকথা জানান। তবে অনুব্রতহীন বীরভূমে ফল ভাল হওয়া নিয়ে আশাবাদী অভিষেক। সাংগঠনিক ভাবে সেখানে দল শক্তিশালী হচ্ছে এবং ২০১৯ সালের চেয়ে ভাল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।