কলকাতা: রাজ্য রাজনীতিতে বার বার 'ডায়মন্ড হারবার মডেল'-এর কথা উঠে এসেছে বার বার। লোকসভা নির্বাচনেও এবার মডেল হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবার। কারণ দুপুর ৩টে বেজে ১০ মিনিটের হিসেবে সেখানে ৭ লক্ষ ১ হাজার ৫৬৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যা চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। (Abhishek Banerjee) ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকেও ছাপিয়ে গেলেন অভিষেক।
একসময় বামেদের দুর্জয় ঘাঁটি ছিল ডায়মন্ড হারবার। ২০১৪ সালে প্রথম বার ডায়মন্ড হারবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অভিষেক। এর পর ২০১৯ সালেও সেখানে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি। সেই থেকে অভিষেক এবং ডায়মন্ড হারবার পরস্পররে সমার্থক হয়ে উঠেছেন। অতিমারির সময় ডায়মন্ড হারবারকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। ফুটবল ম্যাচ আয়োজন থেকে বিপদে আপদে ছুটে যাওয়া কিছুই বাদ দেন না অভিষেক। (Abhishek Banerjee Victory Margin)
এবারেও ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেকের ভোটে দাঁড়ানো একেবারে নিশ্চিতই ছিল। কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে নিজে বাকি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেও, অভিষেকের নামঘোষণার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন বাকিরাই। ডায়মন্ড হারবারে জয় নিয়ে গোড়া থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অভিষেক, মঙ্গলবার সেই আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখা গেল ফলাফলেও। (Diamond Harbour Constituency)
অভিষেক ডায়মন্ড হারবারে তৃতীয় বারের জন্য প্রার্থী হওয়ার পর কার্যতই সেখানে প্রার্থী হকে আগ্রহ দেখা যায়নি বিরোধী শিবিরে। নির্বাচনের ঢের আগে থেকে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে টেক্কা দিতে চান বলে দাবি করে আসছিলেন আইএসএফ নেতা নৌশাদ সিদ্দিকি। নৌশাদ ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হলে তাঁকে বিজেপি সমর্থন করবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
কিন্তু ভোট যত কাছে আসতে থাকে, ততই পিছোতে থাকেন নৌশাদ। কংগ্রেস এবং বাম জোট তাঁকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে চাইলেই বেঁকে বসেন নৌশাদ। জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। পরবর্তীতে নৌশাদ জানান, একাধিক কেন্দ্র নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে মতভেদ হচ্ছিল তাঁর। বলেছেন বলে তাঁর ঘারে ডায়মন্ড হারবার চাপিয়ে হাত তুলে নিতে চাইছে বাম-কংগ্রেস। সেই কারণেই একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে নৌশাদ নিজে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হননি এবার। বরং সেখানে দলের তরফে প্রার্থী করা হয় মজনু লস্করকে।
এব্যাপারে নোশাদের