কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পারদ ক্রমশ চড়ছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। কী হবে আসন্ন ভোটে? বিধানসভা কে দখল করবে? ফের একবার কি মসনদ ধরে রাখতে সক্ষম হবে তৃণমূল কংগ্রেস? না কি, এবার ক্ষমতা আসবে বিজেপি?

Continues below advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মোট আসন ২৯৪। ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। এই পরিস্থিতিতে আজ তুলে ধরা হচ্ছে সি ভোটারের তৃতীয় দফার জনমত সমীক্ষা। আর তাতে উঠে আসছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য।

সমীক্ষায় সকলের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্স কেমন? ৫৪ শতংশ মানুষ মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতার পারফরম্যান্স ভাল। ২৬ শতাংশ মানুষ অবশ্য দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, খারাপ পারফরম্যান্স করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ২০ শতাংশ মানুষের মতে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্স মোটামুটি। ভালও নয়, আবার খারাপও নয়।

Continues below advertisement

একইভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির পারফরম্যান্স নিয়েও সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এবং তাতে অন্তত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়তে পারে। কারণ, ৪৬ শতাংশ মানুষের মতে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির পারফরম্যান্স ভাল। পাশাপাশি ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদির পারফরম্যান্স খারাপ। ১৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদির পারফরম্যান্স ভালও নয়, খারাপও নয়। মোটামুটি।

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। সি ভোটারের তৃতীয় দফার জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ভোটের বাংলায় বাড়বে রাজনৈতিক হিংসা।

সোমবারই প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসের বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়।  বিজেপি নেতা শিব প্রকাশ, মুকুল রায়, অর্জুন সিংহ সামনেই ভাঙল ব্যারিকেড। পাঁচলা, উদয়নারায়ণপুরের পর রায়দিঘিতেও বিজেপি প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ। হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দলীয় কর্মীরা। অফিসে ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অর্জুন সিংহ। ক্ষোভের মুখে  পড়েন মুকুল রায়ও। ওই আসনগুলিতে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশের। 

প্রথমে মোহিত ঘাঁটির বিরুদ্ধে  স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন দলের কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ,  ‘তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেই টিকিট পেয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই টিকিট পেয়েছেন।নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আবার রায়দিঘির প্রার্থী নিয়ে দলীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।