নয়াদিল্লি: বাটলা হাউজ এনকাউন্টার কাণ্ডে পুলিশ ইন্সপেক্টর মোহনচাঁদ শর্মাকে হত্যার অভিযোগে আরিজ খানকে ফাঁসির আদেশ দিল দিল্লির একটি আদালত৷ এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে আখ্যা দিয়েছেন বিচারক৷


এর পাশাপাশি অভিযুক্ত আরিজ খানকে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন অ্যাডিশনাল সেশন জাজ সন্দীপ যাদব৷ এর মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা অবিলম্বে নিহত ইন্সপেক্টরের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷


এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য আরিজের মৃত্যুদণ্ডেরই আবেদন করেছিল পুলিশ৷ তাদের যুক্তি ছিল, এটা শুধু একটা খুনই নয়, বরং আইনের রক্ষাকারী হিসাবে পরিচিত পুলিশ অফিসারের হত্যা৷


২০০৮ সালে বাটলা হাউজ সংঘর্ষে কাণ্ডে অভিযুক্ত আরিজ খানকে গত সপ্তাহেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল দিল্লির এক আদালত। সোমবার তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত।


অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সন্দীপ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, আরিজের বিরুদ্ধে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ ইনস্পেক্টর মোহন চাঁদ শর্মাকে সে এবং তার সঙ্গীরা মিলেই খুন করেছে। ওই পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তারা।



২০০৮ সালে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া নগরে বাটলা হাউজ এনকাউন্টারে পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের ইন্সপেক্টর মোহন চাঁদ শর্মার মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য শাহজাদ আহমেদকে ২০১৩ সালের জুলাই মাসেই যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি দিয়েছিল নিম্ন আদালত৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল শাহজাদ আহমেদ৷ যদিও সেই মামলা এখনও বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।


পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, দিল্লি ছাড়াও জয়পুর, আমদাবাদে একাধিক বিস্ফোরণের পিছনে আরিজের হাত রয়েছে। মুজফ্ফরনগরের বি-টেক আরিজ খান বিস্ফোরক তৈরিতে দক্ষ। নেপাল-সহ ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও তার একাধিক ডেরা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিস্তৃত জঙ্গি নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করেই ২০০৮ সালে অত বড় হামলা চালায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন।


বাটলা হাউজ এনকাউন্টারের ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছিল আরিজ খান৷ ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তাকে৷