রায়পুর: ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনের বুথফেরত সমীক্ষাও এসে গেল। ছত্তীসগঢ়ে মুখোমুখি লড়াই দুই দলের মধ্যে, কংগ্রেস এবং বিজেপি। বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, সেখানে ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৪১.৪ শতাংশ ভোট তাদের ঝুলিতে ঢুকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। অন্য দিকে, বিজেপি পেতে পারে ৪১.২ শতাংশ ভোট।  অর্থাৎ ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। গতবারের তুলনায় এবার বিজেপি-র ভোট ৮.২ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।  ABP-CVoter Exit Poll Survey-তে তেমনই ইঙ্গিত মিলল। (Chhattisgarh Cvoter Exit Poll)


ABP-CVoter Exit Poll Survey অনুযায়ী, এবারে রাজ্য়ে পরস্পরকে কড়া টক্কর দিতে চলেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। তবে কিছুটা হলেও দৌড়ে বিজেপি-র থেকে এগিয়ে থাকছে কংগ্রেস। তারা ৪৫ থেকে ৫১টি আসন পেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে। বিজেপি ৩৬ থেকে ৪২টি আসন পেতে পারে। এই পরিসংখ্যান যদি মেলে, সে ক্ষেত্রে ছত্তীসগঢ়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সমস্যা হবে না কংগ্রেসের। (ABP Cvoter Exit Poll Chhattisgarh)


এর আগে, জনমত সমীক্ষাতেও একই রকম ইঙ্গিত মিলেছিল। আসনসংখ্যায় একটু এদিক ওদিক হলেও, তাতেও কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ছত্তীসগঢ়ে এবার কংগ্রেস ৪১ থেকে ৫৩টি আসন পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪৮টি আসন। ছত্তীসগঢ় বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৯০। এই মুহূর্তে সেখানে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। তাদের দখলে রয়েছে ৭১ টি আসন। বিজেপি-র দখলে আসন রয়েছে ১৭টি। সেই নিরিখে এবার আসন কমতে পারে কংগ্রেসের, এমনই ইঙ্গিত মিলছে।


আরও পড়ুন: Madhya Pradesh Cvoter Exit Poll: পাঁচ বছর আগে মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি, মধ্যপ্রদেশ পুনরুদ্ধার করতে পারবে কংগ্রেস? কী বলছে Cvoter


বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচন নিয়ে প্রচারপর্ব থেকেই তেতে ছিল ছত্তীসগঢ়। বিজেপি যেমন কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করে, তেমনই I.N.D.I.A জোটে কংগ্রেসের শরিক হলেও, ছত্তীসগঢ়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নামে আম আদমি পার্টি। দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসকে ধারাল আক্রমণ করে AAP.  প্রচার চলাকালীনই 'মহাদেব অ্যাপ' সংক্রান্ত ৫০৮ব কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একাধিক জায়গায়, দফায় দফায় তল্লাশি চালায় তারা। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ মামলায়। 


যদিও তাতে একেবারেই নুইয়ে পড়েনি কংগ্রেস। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস বরং জনজাতি-দরদি ভাবমূর্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজ্যের ২৬টি জনজাতি আসন তাদের ঝুলিতেই আসবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস।  পাশাপাশি, বিজেপি-র মোকাবিলা করতে হিন্দু ভোট পেতেও খামতি রাখেননি বাঘেল। রামবন গমন পথের সংস্কার করেন তিনি। তবে দুর্নীতির অভিযোগ কগ্রেসের গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। পাশাপাশি বাঘেল এবং তাঁর ডেপুটি টিএস সিংহ দেও-র মধ্যে সংঘাতও কংগ্রেসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবার ৯০০০ কোটির কৃষিঋণ মকুব করেছিলেন বাঘেল।  এবার মহিলাদের ভাতা, ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করেছে কংগ্রেস, যাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়ে কিনা, এখন তা-ই দেখার। আগামী ৩ ডিসেম্বর ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। সেই দিনই হিসেব পরিষ্কার হয়ে যাবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।