জয়পুর: মোট আসন ২৫। আর তা নিয়েই ধুন্ধুমার রাজস্থানে (Rajasthan)। গেরুয়া ঝড় চলবে? নাকি কালো ঘোড়া হয়ে বাজিমাত করবে I.N.D.I.A. জোট? কী বলছে এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা?
রাজস্থানে লোকসভা নির্বাচনে মোট আসন ২৫টি। বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে বরাবর পেণ্ডুলামের মতো দুলেছে ক্ষমতার রাশ। জলোরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অশোক গেহলৌতের (Ashok Gehlot) ছেলে বৈভব গেহলৌত (Vaibhav Gehlot) লড়াই করছেন। কোটা-বুন্দি কেন্দ্রে ভাগ্যপরীক্ষা সাংসদ তথা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (OM Birla)। তাঁর সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের প্রার্থী প্রহ্লাদ গুঞ্জলের (Prahlad Gunjal)।
এছাড়া হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বাঁশওয়াড়া, বারমার-জয়সলমের, যোধপুর, জলোর, চিত্তগঢ় ও কোটা-বুন্দি কেন্দ্রে। এছাড়া কোটা, উদয়পুর, আজমেঢ়, পালির মতো কেন্দ্র নিয়েও আমজনতার কৌতূহল রয়েছে।
প্রচারের শেষ দিন বিজেপি প্রার্থী কৈলাস চৌধুরীর সমর্থনে রোড শো করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Bollywood actress Kangana Ranaut)। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা কেন্দ্র বারমার-জয়সলমেরে লড়াইটা ত্রিমুখী। যেখানে কৈলাসের সঙ্গে লড়াই নির্দল প্রার্থী রবীন্দ্র সিংহ ভাটি ও কংগ্রেসের উম্মেদারামের।
রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje) ঝালওয়ার-বারান কেন্দ্রে প্রচারের ঝড় তুলেছিলেন পুত্র তথা বিদায়ী সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহের সমর্থনে। কংগ্রেসের ঊর্মিলা জৈনের বিরুদ্ধে লড়াই তাঁর।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানের সবকটি আসন জিতেছিল বিজেপি। এবার কী হবে?
এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, এনডিএ জোট পেতে পারে ২১ থেকে ২৩টি আসন। খাতা কুলতে পারে I.N.D.I.A. জোট। তারা পেতে পারে ২ থেকে ৪টি আসন। তবে অন্যান্যদের কোনও আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে সমীক্ষায়। পাশাপাশি পূর্বাভাস, এনডিএ জোট পেতে পারে মোট ভোটের ৫৪.৫০ শতাংশ। I.N.D.I.A. জোট পেতে পারে ৩৮.৬০ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা পেতে পারে ৬.৯০ শতাংশ ভোট।
(ডিসক্লেমার: বর্তমান সমীক্ষা ও তৎলব্ধ পূর্বাভাসটি সি ভোটার এক্সিট পোলের সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। ভোটের পরে ১৮ ঊর্ধ্ব ভোটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাউন্ডিং এফেক্টের জন্য বহু 'টেবল'-এ যে সংখ্যা রয়েছে, তার যোগফল ১০০ হয়নি। চূড়ান্ত যে তথ্যের উপর বিশ্লেষণ হয়েছে, তা রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের কমবেশি ১%-র মধ্যে। আমরা মনে করি, এটিই জনমতের ধারার সবথেকে কাছাকাছি। দেশের ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। 'এরর মার্জিন' বা ভুলের মাত্রা কম-বেশি ৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহ্য করা হয়েছে এবং ৯৫ শতাংশ কনফিডেন্স ইন্টারভ্যালে আমরা আমাদের ভোট শেয়ারের পূর্বাভাস দিয়েছি।)