ABP Cvoter WB Opinion Poll 2024 Liveরাজ্যের ৪২ আসনে কে কোথায় এগিয়ে? কী বলছে এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা? একনজরে সব আপডেট
West Bengal: এরাজ্যের বিয়াল্লিশটা লোকসভা আসনের সমীক্ষার ফলাফল, একেবারে কেন্দ্র ধরে ধরে পেশ করা হবে। তবে সমীক্ষা থেকে জয়-পরাজয়ের একটা আন্দাজমাত্র মিলতে পারে,কারণ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলেন।
দেবাংশু নাকি অভিজিৎ, জুন নাকি অগ্নিমিত্রা?তমলুক, দমদম, হাওড়া, মেদিনীপুর ও মথুরাপুরে এগিয়ে যাঁরা
ডায়মন্ড হারবার থেকে বর্ধমান পূর্ব, কে কোথায় এগিয়ে? পিছিয়েই বা কে?
পুরুলিয়ায় লড়ছেন শান্তিরাম মাহাতো তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন, বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো, কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো। সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে এই কেন্দ্রে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দিলেও কংগ্রেসকেই তাঁরা সমর্থন করবেন। সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। রায়গঞ্জে জমজমাট ত্রিমুখী লড়াই। কৃষ্ণ কল্যাণী লড়ছেন তৃণমূলের টিকিটে, কার্তিক পাল লড়ছেন বিজেপির টিকিটে, কংগ্রেসের প্রার্থী আলি ইমরান রামজ। এখানে কার্তিক পাল সম্ভাব্য জয়ী বলছে সি ভোটার। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য বোলপুর। এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ১৩ মে। তৃণমূলের প্রার্থী অসিত মাল, বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা, সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান। এই কেন্দ্রে সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। বালুরঘাটে প্রার্থী স্বয়ং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিপ্লব মিত্র তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। জোট প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত। ISF প্রার্থী মোজাম্মেল হক। সি ভোটার বলছে সুকান্ত মজুমদার সম্ভাব্য জয়ী। বর্ধমান পূর্বে চতুর্থ দফায় ভোট। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সরকার, তিনি এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। সিপিএম প্রার্থী নীরব খাঁ। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী সম্ভাব্য জয়ী শর্মিলা সরকার।
হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। যেখানে লড়ছেন স্বয়ং তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বামেদের প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। ISF -এর প্রার্থী মজনু লস্কর। এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। সম্ভাব্য জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ কৃষ্ণনগরে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, বিজেপি-র অমৃতা রায় এবং সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। সমীক্ষা বলছে, কৃষ্ণনগরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। ১ শতাংশ সুইং হলেই পাল্টে যেতে পারে ফলাফল। তবে সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন মহুয়া।
হুগলিতে ভোটগ্রহণ ২০ মে, পঞ্চম দফায়। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি-র লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সিপিএম-এর মনোদীপ ঘোষ। সমীক্ষা বলছে, হুগলিতে সম্ভাব্য জয়ী লকেট। তবে ৩ শতাংশ সুইং হলে ফলাফল পাল্টে যেতে পারে।
আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বহরমপুরে। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপি-র প্রার্থী নির্মল সাহা। সমীক্ষা বলছে, অধীর সম্ভাব্য জয়ী বহরমপুরে।
কলকাতা দক্ষিণে সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ ১ জুন। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মালা রায়, বিজেপি-র দেবশ্রী চৌধুরী এবং সিপিএম-এর সায়রা শাহ হালিম। সমীক্ষা বলছে সেখানে সম্ভাব্য জয়ী মালা রায়।
আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ দার্জিলিংয়ে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী গোপাল লামা, বিজেপি-র রাজু বিস্ত এবং কংগ্রেসের মুনিশ তামাং। সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, দার্জিলিংয়ে সম্ভাব্য জয়ী রাজু বিস্ত।
বর্ধমান দুর্গাপুরে এগিয়ে কে? মালদা উত্তরে সম্ভাব্য জয় কার? কী বলল এবিপি সি-ভোটার সমীক্ষা?
বছরভর আলোচনায় ছিল ডায়মন্ড হারবার। সেখানে এবারও সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইঙ্গিত এবিপি সি ভোটার সমীক্ষায়
এবার কি দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল? কী আন্দাজ দিচ্ছে এবিপি সি ভোটার জনমত সমীক্ষা?
কৃষ্ণনগরে সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, অন্তত তাই আঁচ সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায়
জোর টক্কর হুগলিতে। সি ভোটারের মতে সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়
৪২ আসনে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে? কী বলল এবিপি সি ভোটার ২০২৪-র জনমত সমীক্ষা?
এরাজ্যের ৪২ রাজ্যের সমীক্ষার ফলাফল, জেনে নিন। কী বলল এবিপি সি ভোটার ২০২৪-র জনমত সমীক্ষা?
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: প্রাচীন মিশরের সম্রাট, মানে ফারাওরা, তাঁদের সাম্রাজ্যকে বিয়াল্লিশটা ভাগে ভাগ করতেন। আর সেই বিয়াল্লিশের (ABP Cvoter WB Opinion Poll 2024) দখল নিয়ে, সবসময় ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ, কূটকাচালি লেগেই থাকত। এরাজ্যেও, আজ সমস্ত সংঘাত, ওই বিয়াল্লিশ নিয়েই। ঠিকই ধরেছেন, এরাজ্যের বিয়াল্লিশটা আসনের সমীক্ষার (Election 2024) ফলাফল, একেবারে কেন্দ্র ধরে ধরে, রাখব আপনাদের সামনে। আর প্রত্যেকবারের মতো এবারও বলব, এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু আপনাদের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে আপনাদের এই সমীক্ষা দেখিয়ে আসছি। বহুবার মিলেছে, বহুবার মেলেনি। সমীক্ষা কখনও একশোয় একশো পেয়েছে, কখনও শূন্য পেয়েছে।
কারণ সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী নয়। তাই একে ধ্রবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, বা হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা আপনারা কী ভাবছেন, তার একটা আভাস পাওয়ার চেষ্টা মাত্র। কারণ সমীক্ষাই যদি সব হত, তাহলে তো আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভোট করার দরকারই পড়ত না। আর এই সমীক্ষা যখন চলেছে, তখন অনেক দলেরই প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, হেভিওয়েটদের ঝোড়ো প্রচারও তুঙ্গে ওঠেনি। আমি শুরুতেই দেখে নেব, ঠিক কতজনের মধ্যে, কবে, কীভাবে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
সমীক্ষার প্রথম অংশ আপনাদের সামনে রাখার আগে বলে রাখি, এখানে সি ভোটারের সমীক্ষকরা রাজ্যের বিয়াল্লিশটা কেন্দ্রকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছেন। কোনও দল, যে যে কেন্দ্রে একেবারে স্পষ্টভাবে এগিয়ে, সমীক্ষকরা যাকে বলছেন, Clear Winner, আমরা বলছি 'সম্ভাব্য জয়ী।' আবার জোর টক্কর হচ্ছে বেশ কিছু কেন্দ্রে, যেখানে তিন শতাংশ ভোটের স্যুইং হলে, সম্ভাব্য ফল মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। আবার কিছু কেন্দ্রে টক্কর একেবারে হাড্ডাহাড্ডি, যেখানে মাত্র এক শতাংশ ভোটের স্যুইং সম্ভাব্য ফল উল্টে দিতে পারে। বিস্তারিতভাবে সেটাও বলব আমরা।
আরও পড়ুন:মমতার কনভয় লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান বিজেপির।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -