কলকাতা: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election) ঘুচবে বামেদের (CPIM) শূন্য তকমা? শূন্য ভাঁড়ারের খরা কাটিয়ে এবারের ভোটে খাতা খুলতে পারবে বামেরা? বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে এই চর্চার মধ্যেই একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল লোকসভা ভোটে সিপিএমের ঝুলিতে যেতে পারে তিনটি আসন। দমদম, শ্রীরামপুর ও কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জয়ী হতে পারে সিপিএম।    


তবে সি ভোটারের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছে একঝাঁক তরুণ মুখকে প্রার্থী করেই কি লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে খাতা খুলতে পারবে সিপিএম? এই প্রশ্নের উত্তরে সি ভোটারের সমীক্ষায় ৩০ শতাংশ মানুষ মনে করেছেন তরুণ মুখকে প্রার্থী করেই বাংলায় খাতা খুলতে পারবে বামেরা। ৫২ শতাংশ অবশ্য মনে করছেন এই তরুণ ব্রিগেডকে প্রার্থী করে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলে খাতা খুলতে পারবে না লাল ব্রিগেড, ১৮ শতাংশ মনে করছেন তাঁরা উত্তর দিতে পারবে না। 


বামেদের জনপ্রিয় তরুণ তুর্কীদের মধ্যে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য। শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী হন দীপ্সিতা ধর। তমলুক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোট ঘোষণার দু’মাস আগে সিপিএমের যুব সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশেও চোখে পড়ার মতো ভিড় হয়েছিল। সেই সময়ই অবশ্য প্রশ্ন উঠেছিল  ভিড় হলেও ভোটে তার ফল মিলবে কি? সি ভোটারের সমীক্ষার রিপোর্টে জনমতে অবশ্য তেমনটা মনে করা হচ্ছে না।  


আরও পড়ুন, CAA চালু হওয়ায় লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় কার লাভ? কী বলছে C Voter-এর সমীক্ষা?


এর আগে  ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্সটিটিউটের কয়েক জন অধ্যাপকের করা সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে জয়ী হতে পারেন বামেদের তরুণ তুর্কি দিপ্সীতা ধর। 


ওই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে ১ হাজার ১৪৯ জন ভোটারকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। পুরুষ ভোটারের ৩৩ শতাংশ সিপিএমকে চেয়েছেন। ২০ শতাংশ ভোটার বিজেপিকে চেয়েছেন। তৃণমূলকে চেয়েছেন ২০ শতাংশ। মহিলা ভোটারের ৩০ শতাংশ সিপিএমকে চেয়েছেন। ২৪ শতাংশ ভোটার তৃণমূলকে চেয়েছেন। ১৩ শতাংশ বিজেপিকে চেয়েছেন। 


যদিও এই তরুণদের উপর ভরসা করে বামেরা বাংলায় খাতা খুলতে পারবেন কি না, তা অবশ্য নির্বাচনী ফলাফলই বলবে। 


ডিসক্লেমার: সি ভোটারের সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। তাই এই সমীক্ষায় ফল যাই হোক না কেন তাকে ধ্রুবসত্য মনে করার কোনও কারণ নেই। সি ভোটারের এই সমীক্ষার সঙ্গে সম্পাদকীয় নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া তথ্যগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরি মাত্র।