ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : বীরভূমের মাটিতে তিনি নেই দীর্ঘদিন। কিন্তু, লোকসভা ভোটের ( Loksabha Poll )  বাজারে দিল্লির তিহাড়ে ( Tihar ) থেকেও, বীরভূমে ( Birbhum )তাঁর 'খেলা' আছে। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে  দুবরাজপুরে দেওয়াল লিখনেও তাই জায়গা পেলেন নামহীন অনুব্রত। দেওয়ালে দেখা হল, 'তিহাড় থেকে খেলা হবে' । ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময়, পাড়ার চায়ের দোকান থেকে, ক্যাম্পাস, মুখে মুখে ঘুরতে শুরু করেছিল 'খেলা হবে' স্লোগান। সৌজন্য়ে অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal ) । 


তারপর একের পর এক দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় হয়েছে ইডি - সিবিআই। গরুপাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।  এবার লোকসভা ভোটে লালমাটির দেশে হাওয়া গরম করার জন্য 'খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে' বলার লোকটা বীরভূমে নেই। 


গত বিধানসভা ভোটের আগে অনুব্রতর একের পর এক বচন একেবারে ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি বলেছিলেন, ' সবাই নাচবে আমি দেখব, পরে আমি খেলা আরম্ভ করলে ওরা বসে বসে দেখবে...' 


কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল এখন বন্দি তিহাড় জেলে। তবে তিহাড়ে থেকেও লোকসভা ভোটের এই দেওয়াল লিখন জানান দিচ্ছে, কর্মীদের মধ্যে তাঁর উপস্থিতির কথা।এই প্রসঙ্গে বীরভূমে তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন,  ' বীরভূমে বহু নেতা, নেতা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। সুতরাং তাঁরা যদি সেই নেতার কাছে কৃতজ্ঞ থাকে, সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে যদি তাঁরা দেওয়াল লিখন লেখে, এর মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। দ্বিতীয়ত, সারা ভারতবর্ষে বিজেপি যদি ইডি-সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোট করাতে পারে, যদি আমাদের কর্মীরা লেখে খেলা হবে, তাঁর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই।'


অন্যদিকে, এবার হোলিতেও বীরভূমে ছিল অনুব্রত মণ্ডলের প্রতীকী উপস্থিতি। তিহাড়ে থেকেও দোলের দিন কর্মীদের মাঝেই রইলেন অনুব্রত মণ্ডল। সশরীরে তাঁকে না পেয়ে, তাঁর ছবিতেই আবির দিয়ে প্রণাম করলেন অনুগামীরা। উনিই অভিভাবক বলে দাবি করলেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।   


২০০৯ সাল থেকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে টানা জিতে আসছে তৃণমূল। টানা ৩ বার এই কেন্দ্রে জিতেছেন শতাব্দী রায়। তবে গত ২ বছরে অনুব্রতহীন বীরভূমে অনেকটাই বদলে গেছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তাই লাল মাটির জেলার রাজনৈতিক রং এবার কী হয়, জানা যাবে ৪ঠা জুন। 


আরও পড়ুন :


'লাঠিতে তেল মাখানো শুরু..', বরানগরে উপনির্বাচনের আগে বিস্ফোরক BJP প্রার্থী সজল