প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডলকে ট্যাগ করে কাশ্যপ লেখেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদি স্যর, আপনাকে জয়ের অভিনন্দন জানাই, আপনার সবাইকে সামিল করার বার্তার জন্যও ধন্যবাদ। তবে স্যর দয়া করে এও বলুন, কী করে আপনার এই অনুগামীদের সামলাব যারা আমার মেয়েকে হুমকি দিয়ে আপনার জয় উদযাপন করছে, আপনার বিরুদ্ধ মতের মানুষ হওয়ায় আমাকেও এধরনের বার্তা পাঠিয়েছে। একটি স্ক্রিনশটও দেন তিনি।
এরপরই পাল্টা পরিচালক অশোক পন্ডিত ট্যুইট করেন, যা থেকে বিতর্কের শুরু। তিনি ট্যুইট করেন, এই ট্যুইটার হ্যান্ডলটা মনে হয় ফটোশপ করা হয়েছে কারণ এর অস্তিত্বই নেই। গোটা দুনিয়া যেখানে খুশি হয়েছে, তখন কাউকে মোদিকে গালাগাল করার সুযোগ করে দিতেই সম্ভবত কোনও শহুরে নকশাল এটি বানিয়েছে। ক্ষুব্ধ কাশ্যপ পন্ডিতকে জবাব দেন, ট্যুইটারে নয়, প্রোফাইলটা ইনস্টাগ্রামে খুঁজে দেখুন। এই তো আমার মেয়েকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাল্টা পন্ডিত আবার কাশ্যপের পাঠানো বার্তার স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, আজকের ভোটের ফলে আপনি শোকাহত। আমায় মাতালের মতো গালাগাল দিচ্ছেন, ট্যুইটারে ভুল লোককে ট্যুইট করে। পন্ডিত আরও লেখেন, মুম্বই পুলিশকে রিপোর্ট করুন যাতে তারা চৌকিদার রামসঙ্ঘিকে খুঁজে বের করতে পারে। ‘দেব ডি’, ‘মনমর্জিয়া’র মতো ছবি করেছেন কাশ্যপ। পন্ডিত ভারতীয় ছায়াছবি ও টিভি ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিনেমা পরিচালক। তিনি সহ প্রযোজনা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারুর জীবনীভিত্তিক রচনা ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ নিয়ে তৈরি ছবির।