গুয়াহাটি:  বুথে বৈধ ভোটার সংখ্যা ৯০। দিনের শেষে ভোট পড়ল ১৭১। আজব এই ঘটনার সাক্ষী অসমের দিমা হাসাও জেলা। 


গত ১ তারিখ অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ছিল। খবরে প্রকাশ, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা মেনে ভোট দিতে অস্বীকার করেন হাফলং কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি গ্রামের প্রধান। 


শুধু তাই নয়, নিজস্ব ভোটার তালিকা নিয়ে ভোট দিতে আসেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সেই ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দেন স্থানীয় মানুষ।


কমিশন সূত্রে খবর, মৌলদাম এলপি স্কুলে বসেছিল ভোটকেন্দ্র। সেখানেই এই আজব ঘটনা ঘটে। 


এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অবিলম্বে বুথের পাঁচ পোলিং আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নির্বাচনী অফিসার। 


নির্দেশে বলা হয়েছে, কর্তব্যে গাফিলতির জন্য নির্বাচন কমিশন এই পাঁচ আধিকারিককে অবিলম্বে সাসপেন্ড করছে। ভোটগ্রহণের পরের দিনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, সোমবার তা প্রকাশ্যে আসে। 


কমিশনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বলেন, ওই বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৯০। কিন্তু, ইভিএমে ভোট পড়েছে ১৭১টি। 


কেন ভোটকর্মীরা গ্রামপ্রধানের দাবি মানলেন? বুথে কোনও নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিল কি না, উপস্থিত থাকলে তাঁর ভূমিকা কী ছিল, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই বুথে ফের পুনর্নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে অন্য স্কুলে ভোটকেন্দ্র গঠন করা হবে। যদিও, এখনও পর্যন্ত এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকা জারি করেনি কমিশন। 


অসমে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১ এপ্রিল। তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে আগামীকাল, মঙ্গলবার।