কলকাতা: একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র রক্ষার তাগিদে একা লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লড়াইকে সম্মান করি। এখানে অভিনয় করতে আসিনি। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন জয়া বচ্চন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে এ রাজ্যে প্রচারে এসেছেন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চন। জয়া বচ্চন বলেছেন,‘মমতা ফের ক্ষমতায় এলে বাংলার আরও আরও বেশি উন্নতি হবে। কারণ দিদি যেটা করতে চান, সেই কাজটা উনি সম্পূর্ণ করবেনই।'


একধাপ এগিয়ে জয়া বচ্চন আরও বলেন, ‘মমতাকে যাঁরা পছন্দ করেন না, তাঁদেরকে বলব লজ্জা লজ্জা।' আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখিয়ে জয়া জোড়েন, 'আমাকে আমার অনেক বন্ধু বললেন, এই বলবেন, ওই বলবেন। আমি সাফ গলায় বলতে চাই আমার ধর্ম আমার থেকে হাইজ্যাক করবেন না। আমার গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার হাইজ্যাক করবেন না। এখানে আমি আসলে আমরা সবাই, আর ঠিক সেই কারণেই এখানে এসেছি। কঠোর পরিস্থিতির মাঝেও অবিচল চিত্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সবার গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়ছেন। বাংলা দেশ ও বিশ্বের অনেক আগে যাবতীয় বিষয় নিয়ে ভাবে।'


নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের প্রশংসা করে জয়া জোড়েন, 'দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবথেকে নিরাপদ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।' সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে ধন্যবাদ জানিয়ে জয়া বচ্চন বলেন, 'আমাদের পার্টির নেতা অখিলেশজি আমাকে জানালেন মমতাজিকে আমরা সমর্থন করছি, আমাদের পক্ষ থেকে আপনি গিয়ে সেই বার্তা জানাবেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য একা একজন মহিলা লড়ছেন, সেই মমতাজির পাশে এসে দাঁড়ানোর দায়িত্ব পেয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। গর্বিত বোধ করেছি এই দায়িত্ব পেয়ে। ওঁর মাথা, পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে কিন্তু সিংহহৃদয় মহিলার হৃদয়, লড়াই করার ক্ষমতাও কেউ এক বিন্দু চিড় ধরাতে পারেনি।'


পরে বিকেলের দিকে টালিগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাসের সমর্থনে রোড শো করেন জয়া বচ্চন।