নয়া দিল্লি: করোনা প্রকোপ কমছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে দেশের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচার এবং রোড-শোতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে কি না তা নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। দেশের পাঁচটি রাজ্যে ভোটগ্রহণের আগে কোভিড পরিস্থিতি পরীক্ষা এবং সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখা উচিত কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। 


সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রচার অনুষ্ঠানের আয়োজনে নতুন করে শিথিলতা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া, পঞ্জাব এবং মণিপুরের ভোটের সময়সূচী প্রকাশ করে সেই সময়ই বলা হয়েছিল যে COVID-19 এর আক্রান্ত বৃদ্ধির উল্লেখ করে শারীরিক সমাবেশ এবং রোডশোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। 


নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, প্রচারে কোনও বড় সমাবেশ করা যাবে না। বড় মাঠে রাজনৈতিক দলের সভায় সর্বোচ্চ ৫০০ জন উপস্থিত থাকতে পারে। ওই মাঠে ঢোকা এবং বেরনোর পথ আলাদা রাখতে হবে। যদি চার দেওয়ালের ভিতর অর্থাৎ কোনও অডিটোরিয়াম বা কনফারেন্স হলে সভা হয়, সেখানে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে সেই সংখ্যা কখনওই ২০০-র বেশি হবে না।


কমিশন নিয়মিতভাবে এই সমস্যাটির মূল্যায়ন করছে, এমনটাই সূত্রের খবর। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এবং দলগুলো সীমিত আকারে প্রচার চালাতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে পারে। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গোয়া, পঞ্জাব, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে সাত ধাপে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১০ মার্চ ব্যালট গণনা করা হবে।                                            


এদিকে, জাতীয় ভোটার দিবসে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, ‘এক দেশ, এক ভোটার লিস্ট’ এবং ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, গোয়া, উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন আর কিছুদিন পরেই। এ বছরই আবার গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য আজ দলীয় নেতা-কর্মীদের তৈরি হতেও বললেন মোদি।