পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : জানুয়ারির শেষাশেষি ডোরিনা ক্রসিংয়ে ( Dorina crossing) উল্টে যায় পার্ক সার্কাস (Park Circus) থেকে হাওড়াগামী (Howrah) মিনিবাস। ‘বেপরোয়া গতি থাকার কারণেই উল্টে যায় মিনিবাস’, ফরেন্সিকের প্রাথমিক তদন্তে মিলল তথ্য।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না, ৪টি টায়ারই ছিল রিসোল করা। চালকের গাফিলতির জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে বাস-মিনিবাস চালাতে দেওয়া হবে না, জানিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।
কোভিডের ক্ষতি ভুলতে চাইছে স্টার্টআপ, বাজেট থেকে কী চাইছে ইভি সেক্টর ?
রবিবার দুপুর ২টো ১০। পার্ক সার্কাস থেকে হাওড়ায় যাচ্ছিল এই মিনিবাস। বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য মিনিবাসটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। আচমকাই বিকট আওয়াজ করে উল্টে যায় মিনিবাস। আতঙ্কিত যাত্রীদের হুড়োহুড়ি, চিত্কার শুরু হয়ে যায়। ধর্মতলা মোড়ের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটায় ছুটে আসেন পুলিশ কর্মীরা। স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ কর্মীরাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। বাসে জনা ৩৫ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের অনেকেই আহত হন।
কীভাবে দুর্ঘটনা? বেপরোয়া গতির কারণে ওভারটেক করতে গিয়ে কি দুর্ঘটনা ঘটে? নাকি রিসোলিং টায়ার ফেটে বিপত্তি? প্রশাসন সূত্রে খবর, রি-সোলিং টায়ার নিয়ে চলছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনিবাসটি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবহণমন্ত্রী জানান, শহরে আনফিট বাস চালানো যাবে না। ফিরহাদ হাকিম জানান, ' কলকাতার আরটিওকে বলেছি, যে বাসের সি এফ নেই, তা অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। টায়ার রি-সোলিং করা ছিল। টায়ার রি-সোলিং থাকার কারণে ভারবহন ক্ষমতার ভারসাম্য ছিল না। সেই কারণে মিনিবাসটি টার্ন নেওয়ার সময় উল্টে যায়।'
আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, আহত ২৪ জনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় আরও একটি দুর্ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টেয়।ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছেই কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা দেখেন, বাঁকড়া রুটের একটি মিনিবাস বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় মিনিবাসটিকে থামিয়ে নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। মিনিবাসের চালককে আটক করে পুলিশ। এই মিনিবাসটি রাস্তায় চলার উপযুক্ত ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।