নয়াদিল্লি: ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে ব্যালট বাক্স বদলে বৈদ্যুতিন ভোট যন্ত্র বা ইভিএম ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে গণনার দিন দুপুরের মধ্যেই মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হয়ে যায় ফলাফল। তবে এবার সেই প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।


কিন্তু কেন?

উপ নির্বাচন কমিশনার উমেশ মিশ্র জানিয়েছেন, ইভিএমের ভোট গণনার পরে ভিভিপ্যাট যন্ত্রের কাগজের স্লিপ গোণা শুরু হবে। তারপরে দুটি যন্ত্রের ভোটের সংখ্যা মিলিয়ে দেখা হবে কোথাও কোনও অসামঞ্জস্য রয়েছে কি না। কেন্দ্র পিছু পাঁচটি করে বুথের ইভিএম আর ভিভিপ্যাটের ফল মেলানো হবে। এই পাঁচটি বুথ বাছাই করা হবে লটারির মাধ্যমে। যে কারণে ভোটগণনা প্রক্রিয়া কিছুটা মন্থর হয়ে পড়বে।

বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। বিকেলের মধ্যেই ইভিএমে ভোট গণনার কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে ভিভিপ্যাট গণনাই। যে বুথের ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেবে, সেখানেই ভিভিপ্যাট গণনা করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। একটি ভিভিপ্যাট গণনা করতে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাই কমিশনের কর্তাদের অনুমান, আট থেকে দশ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের ভিভিপ্যাট গণনা শেষ করতে। এর ফলে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হবে। কিছুটা পিছতে পারে ফলঘোষণাও।