কলকাতা: শুক্রবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আট দফার নির্ঘণ্ট ‌প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার পরের দিনই আক্রমণাত্মক ট্যুইট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, আসন্ন নির্বাচনে বাংলার মানুষ ‘ঘরের মেয়ে’-কেই বেছে নেবেন। ফের মসনদে বসবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারই। এবং রাজনীতির ময়দানের বিখ্যাত ‘পিকে’ জানালেন, তাঁর কথা ২ মে না মিললে তখন তিনি জবাবদিহি করবেন।


২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পরই পিকের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পায়ের তলার জমি ফের শক্ত করতে মাঠে নামেন প্রশান্ত কিশোর। তবে তাঁকে নিয়ে দলের একাংশ ক্ষুব্ধও। যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা অনেকেই বলেছেন, মানুষের পাশে থাকার জন্য কোনও পেশাদার ভোটকুশলী প্রয়োজন নেই তাঁদের। নির্বাচনের দামামা বাজতেই ফের সক্রিয় প্রশান্ত কিশোর। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবে না। এবার ফের চ্যালেঞ্জের সুরে পিকে বললেন, বাংলার মানুষ ঘরের মেয়েকেই আপন করে নেবেন।



শনিবার সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভারতের অন্যতম প্রধান লড়াইটা বাংলা থেকেই লড়া হবে। এবং সেই লড়াইয়ের জন্য বার্তা-সহ বাংলার মানুষ তৈরি। সময় মতো সঠিক তাসটি ফেলতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়।‘ এরপর প্রশান্ত কিশোর চ্যালেঞ্জ দেওয়ার সুরে লেখেন, ২ মে ভোটগণনার দিন তাঁর কথা না মিললে জবাবদিহি করবেন তিনি।


প্রসঙ্গত, আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে প্রধান বিরোধী বিজেপিকে বারবার বহিরাগত বলে আক্রমণ করছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রাজ্যের শাসক দলের স্লোগান, বাংলা তার ঘরের মেয়েকেই চায়। এখানে 'বহিরাগত' বনাম বাঙালি তত্ত্বটিকে জিইয়ে রাখা রয়েছে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মেয়ে ভাবমূর্তিকে জিইয়ে রাখা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা এই স্লোগান তৈরিতে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকাই প্রধান।