দীপক ঘোষ, দুর্গাপুর : '২০১৯-এর পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সব বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ছাপিয়ে যাবে বিজেপি। বাংলায় অমিত শা-র ৩০ আসনের টার্গেটের কাছেই পৌঁছে যাবে দল। প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, সে বিষয়ে সংশয় নেই। চারশো আসনের দিকেই এগোচ্ছে দল', ২ দিন আগেই দাবি করেছিলেন দিলীপ। ভোট গণনার সকালেও রয়েছে তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস। 


ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। পৌঁছন গণনাকেন্দ্রে। সেখানে এজেন্টদের বসিয়ে রেখে তিনি বেরিয়ে যান। সেই সময়ই তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ভোটের রেজাল্ট বিজেপির পক্ষেই যাবে। 


২০১৯ সালে মেদিনীপুর থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। গত কয়েক বছর  সেখানে পড়েছিলেন মাটি কামড়ে। কিন্তু দল তাঁকে ২০২৪ সালে টিকিট দেয় বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে। নতুন কেন্দ্র, নতুন প্রতিপক্ষ। তবু প্রথম দিন থেকেই বিশাল জনসমাগম ছিল দিলীপকে ঘিরে। তিনি সকালে চা-চক্র থেকে শুরু করে সারাদিন কেন্দ্র চষে বেড়েছেন। বললেন, নতুন কেন্দ্র, সময় কম, কাজের চাপ বেশি ছিল। কিন্তু মানুষ ঠিক করে ফেলেছে বিজেপিকেই জেতাবে। 


তাঁর বিরুদ্ধে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। তিনি ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন। তাঁর কথা উঠতেই দিলীপ ঘোষ বললেন, 'উনি কী করতেন জানি না। জানি আগেরবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বোধ হয়, তাই বোধ হয় পার্টিবদল করেছেন।'


ভোট গণনার দিনও আত্মবিশ্বাসী তিনি। দিল্লির মসনদে কে? তৃতীয়বার মোদি সরকার? নাকি ইন্ডিয়া জোটের বাজিমাত? বাংলার বিয়াল্লিশের মধ্যে কার ঝুলিতে কটা? সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হলে তিনি আবার ফিরবেন গণনাকেন্দ্রের কাছে।  বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলকে অল আউট অ্যাটাক করে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে করা তাঁর মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের থেকে শো-কজও করা হয়েছে তাঁকে। তবু দমেননি তিনি। দিলীপ ঘোষ বরাবরই জয়ের বিষয়ে কনফিডেন্ট। তবে এবার প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেন কিনা , সেটাই দেখার।                


আরও পড়ুন :


রাজ্যের ৪২ আসনের রায় কার পক্ষে, কার বিপক্ষে? ভোট গণনার লেটেস্ট আপডেট


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে