রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের মুখে ভাঙড়ের কাশীপুরে উদ্ধার হল প্রচুর তাজা বোমা। কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল, মঙ্গলবার এই বোমা উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


বিধানসভা ভোট শুরু হতে তিন সপ্তাহও বাকি নেই। এই সময়ে ভাঙড়ে ফের প্রচুর বোমা উদ্ধার ঘিরে তৈরি হল চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার কাশীপুরের পাকাপোল এলাকায় একটি বাঁশবাগান থেকে ১৭০টি বোমা উদ্ধার হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরাও। ভাঙড়ের ডিএসপি (ক্রাইম) তমাল সরকার বলেন, ‘‘আমরা এসে বোমাগুলি উদ্ধার করি, কারা রেখেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’


বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড সমাবেশের দিন ভাঙড়ে তৃণমূল ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর করা হয় পঞ্চায়েত অফিস। গত বুধবার, ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীর বাড়ি থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই দিনই ভাঙড়ের কাজদিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার ভাঙড়ের কাশীপুরে উদ্ধার হল প্রচুর তাজা বোমা। যা নিয়ে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস জানান, ‘‘তৃণমূল সব সময়ই এরকম, এর আগেও করেছে, তৃণমূলের লোকেরাই এসব করছে, আমরা নির্বাচন কমিশনে বিষয়টা জানাবো।’’ বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল আবার আইএসএফ-কে কাঠগড়ায় তুলেছে। ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা জানান, সিপিএম এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিল, এখন ওরাই আইএসএফ করছে, তারাই ভোটের আগে গন্ডগোল পাকাতে বোমা মজুত করছে।


উল্লেখ্য, চতুর্থ দফায় অর্থাৎ ১০ এপ্রিল ভাঙড়ে ভোট। তার আগে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায়।