বেগুসরাই: বিহারের বেগুসরাই আসনে ৪ লাখ ২২ হাজার ২১৭ ভোটে জয়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী পেলেন ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৯৩টি ভোট। গতবারের তুলনায় এই কেন্দ্রে ১৫ শতাংশ ভোট বাড়ল শাসক দলের। বামেদেরও ভোট বাড়ল ৪ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এতে শেষ রক্ষা হল না। সংসদীয় রাজনীতিতে তুলনায় একেবারে নবীন সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৭৬টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানেই রয়ে গেলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আরজেডি প্রার্থী।



প্রসঙ্গত, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের নজর ছিল এই বেগুসরাইতে। বুথ ফেরত সমীক্ষা পর্যন্তও অনেকে এই কেন্দ্রে বাজি ধরেছিলেন বাম ছাত্রনেতার ওপরই। তবে ২৩ তারিখের ফলাফলে সব সম্ভাব্য সম্ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে বিহারের এই কেন্দ্রে জয়ী হল বিজেপি-ই। মন্ত্রীর কাছে হেরে গিরিরাজ সিংহ সহ সকল জয়ী প্রার্থীদের ধন্যবাদ জানালেন কানহাইয়া। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সমর্থক দরদির উদ্দেশেও। একই সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন চিরকালীন সংগ্রামের।


সোশ্যাল মাধ্যমে ছাত্রযুব নেতা লিখেছেন, “পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে দেশের নাগরিকবৃন্দ যে রায় দিয়েছে তাকে স্বাগত। সকল জয়ী সাংসদকে অভিনন্দন। যারা সমর্থন জানিয়েছেন এবং নির্বাচনে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। বেগুসরাইয়ের মানুষের উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সামাজিক মাধ্যমে যে সকল মানুষ আমাদের লড়াইয়ে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ। দলের সমস্ত কর্মীদেরকে ধন্যবাদ তাদের আপ্রাণ সংগ্রামের জন্য।”



জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনকালে যে রাজনৈতিক শিক্ষার বুনিয়াদ তাঁর মধ্যে গড়ে উঠেছিল, সেই অধ্যায়ের কথাও নিজের জবাবি বক্তব্যে তুলে ধরেছেন কানহাইয়া। ‘যখন রাজনীতি আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায় তখন আমাদের উচিত রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠা’, এই শিক্ষাই জেএনইউ-তে পেয়েছেন বাম ছাত্রযুব নেতা। তিনি সেই ভিত্তি নিয়েই আগামী দিনে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষে কানাহাইয়া লিখেছেন, “অনেক নকল ইস্যুর ভিড়ে সমাজের সবথেকে পিছিয়ে পড়া অংশের আওয়াজ যেন কোনও ভাবেই ঢাকা না পড়ে যায় সে জন্য সর্বতভাবে সংগ্রাম করতে হবে। লড়াই তো সবে শুরু। আমরা সবসময়ই সমাজের সবথেকে পিছিয়ে পড়া নাগরিকের কণ্ঠ হয়েই থাকব।”