কেন্দ্রে এবার জোড়া দায়িত্ব পেলেন সুকান্ত মজুমদার। শিক্ষা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিতে যেখানে এক ব্য়ক্তি এক পদ নীতি মানা হয়, সেখানে সুকান্ত মজুমদারকে কি রাজ্য় সভাপতির পদ ছাড়তে হবে ? আর তা হলে, সেই চেয়ারে বসবেন কে? জল্পনায় ভাসছে একাধিক নাম।

  


দিলীপ ঘোষ


প্রথমেই যে নামটা সব থেকে বেশি ঘুরছে, সেটি হল দিলীপ ঘোষ। যার ক্যাপ্টেনসি প্রথম পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। কেন উঠে আসছে দিলীপের নাম , তার কতকগুলি বিশেষ কারণ রয়েছে। প্রথমত দিলীপ ঘোষ আরএসএসের অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ। এক সময় সঙ্ঘের প্রচারক ছিলেন। পরে তিনি রাজনীতিতে এসে বিজেপির রাশ ধরেন। তাঁর নেতৃত্বেই এরাজ্য়ে বিজেপির সাংসদ সংখ্য়া ২ থেকে ১৮-তে উঠে এসেছিল। তিনি রাজ্য় সভাপতি থাকাকালীন একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি বিধায়ক ৩ থেকে বেড়ে হয়েছিল ৭৭। বিজেপির সাফল্যের গ্রাফে এই লম্বা লম্বা লাফের পরও, দিলীপ ঘোষকে মেয়াদ ফুরনোর আগেই রাজ্য় সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দলের একের পর এক পদ থেকে দিলীপকে সরানো হলেও কখনও দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কথা বলেননি দিলীপ। এবার লোকসভা ভোটে তাঁকে মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে সরিয়ে দেওয়া হয়, জয় আসেনি দিলীপের ঝুলিতে। তার পরে অবশ্য় মুখ খোলেন দিলীপ, ইদানীং অবশ্য রাজ্য় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্বের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে চর্চা চলছে নানা মহলে। যদিও, তিনি এনিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য় করতে চাননি।  


শুভেন্দু অধিকারী


এবার লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য়জুড়ে বিজেপির প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তবে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা একটাই। এক ব্য়ক্তি এক পদ নীতি। তিনি এখন  পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। যদিও, অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি জি কিষেণ রেড্ডি দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর ভাগ্য়ে শিকে ছিঁড়বে কিনা সেটা সময় বলবে। 


জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 


রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের নামও কোনও কোনও সূত্র থেকে শোনা যাচ্ছে। তিনি RSS-এর অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু তিনি রাজ্যে গোটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা পারদর্শী হবেন, তা অবশ্য পরীক্ষিত নয়।  


জগন্নাথ সরকার বা জ্য়োতির্ময় সিং মাহাতো 


দু'জনই বিজেপির দু'বারের সাংসদ। একজন মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত, একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। তবে কেউই এর আগে কখনও গোটা  রাজ্যের সংগঠনকে নেতৃত্ব দেননি। সেক্ষেত্রে তাদের উপর এ বিষয়ে কতটা ভরসা রাখবে দল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। 


লকেট চট্টোপাধ্যায় 


রাজ্য় বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের নামও কেউ কেউ ভাসিয়ে দিচ্ছেন। লকেট চট্টোপাধ্য়ায় বিজেপি শিবিরের লড়াকু নেত্রী। যদিও, তিনি মূলত ভিন রাজ্য়ের সংগঠনের দায়িত্বে থেকেছেন। এবার এ রাজ্যের দায়িত্ব তিনি পেলে দৃষ্টান্ত তৈরি হবে। 


 


আরও পড়ুন :


তৃতীয়বারও রইলেন নির্মলা, মোদির মন্ত্রিসভায় এবার মহিলা কতজন জানুন 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে