কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক। শনিবার কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক তৃণমূলের। বিকেল ৪টে থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা চলছে সেখানে। বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার কৌশল থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে। বৈঠকে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। 


দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। মিটে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্বও। আপাতত তা নিয়ে চলছে স্ক্রুটিনি। কিন্তু নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে মনোয়ন জমা এবং সর্বোপরি স্ক্রুটিনি, আগাগোড়াই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহেই প্রাণহানি হয়েছে ছয় জনের। তাতে আঙুল উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর সেই আবহে আজ বৈঠকে বসেছে তৃণমূল। 


তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা, অভিষেক ছাড়াও বৈঠকে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। পঞ্চায়েত কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও ডাকা হয়েছে বৈঠকে। জানা যাচ্ছে, মোট তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা ২০ জুন পর্যন্ত। দলের অনুমতি ছাড়া যাঁরা গোঁজ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাঁদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমঝোতায় না গিয়ে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।


আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম রাজ্যপালকে, উনি বরং কানে বিড়ি গুঁজুন,' বেনজির আক্রমণ মদনের


এর আগে, গতকাল কাকদ্বীপে অভিষেক জানিয়েছিলেন, যুদ্ধের সময় যাঁর বেইমানি করবেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবেন না দলের। কখনও ফেরত নেওয়া হবে না দলে। আজ ফের সেই অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে, যাতে গোঁজ প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেন।


দলের প্রচার কৌশল কী হবে, তা-ও আজ ঠিক করে দেবেন মমতা। মনোনয়ন পর্বকে ঘিরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে একাধিক জায়গায়, যা নিয়ে সরব বিরোধীরা। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা যেভাবে গেল গেল রব তুলেছে, রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থা মোটেই তেমন নয়। বিরোধীদের এই 'অপপ্রচারে'র বিরুদ্ধেই দল নামতে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।  বিরোধীদের 'অপপ্রচারে'র বিষয়টি নিয়ে প্রচার চলবে বলে জানা যাচ্ছে।


পঞ্চায়েত নির্বাচন যেহেতু গ্রাম বাংলার নির্বাচন, তাই গ্রাম বাংলার মানুষের জন্য কী কী প্রকল্প এনেছেন মমতা, তাঁদের কল্যাণের জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার, সেগুলি প্রচারে তুলে ধরার কৌশল নেওয়া হতে পারে। এর পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবে সড়ক যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে, তা নিয়েও মানুষকে সচেতন করা হবে। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলে শুধু লুঠের কৌশল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।