কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) বেনজির আক্রমণ তৃণমূল (TMC) বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে (Panchayat Elections 2023) অশান্তির জেরে একদিন আগে ভাঙড় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে এবার ক্যানিং যাচ্ছেন তিনি। সেই আবহেই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন। তাঁর কথায়, "রাজ্যপালকে অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আগে জানতাম শকুন থাকে আকাশে, নজর থাকে ভাগাড়ে। এখন দেখছি, শকুন থাকে আকাশে, নজর থাকে ভাঙড়ে।"


একদিন আগেও রাজ্যপালকে নিশানা করেছিলেন মদন। শনিবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, "রাজ্যপালকে অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম। অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেড়ে। বাংলার আম কী মিষ্টি জানেন! কিন্তু আপনার নজর ভাঙড়ে কেন? একটু মণিপুরের রাস্তায় যান, উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় যান!"


আরও পড়ুন: Panchayat Poll 2023 : রাজ্যপাল তলব করলেও আজ রাজভবনে যাচ্ছেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার, কী জানালেন?


রাজ্যপালকে অভিনেতা বলেও উল্লেখ করেন মদন। বলেন, "আপনি বরং কানের পাশে একটা বিড়ি গুঁজুন। উল্টে পরুন চশমাটা। রাজ্যপল এত ভাল অভিনয় করছেন, যে দক্ষিণের রজনীকান্তও হার মানবেন। ওঁর বাজার খারাপ হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন শেষ কথা বলবে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনী তত ক্ষণ, রেজাল্ট বেরোচ্ছে যত ক্ষণ। তৃণমূলই শেষ কথা বলবে।"


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজভবনের গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানান তিনি। তার পরই এদিন রাজ্যপালের ক্যানিং যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তার পরই রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করেন মদন। 


এর আগে, শুক্রবারও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন মদন। বলেন, "রাজ্যপাল না হরিদাস পাল! ওঁর চেয়ে পরেশ পালের স্ট্যান্ডার্ড ভাল। রাজভবনে থাকেন, কিন্তু নজর ভাগাড়ে। ইডি-সিবিআই-কে বলব, রাজ্যপালের বাড়িতে তল্লাশি চালান। প্রচুর বোমা পাওয়া যাবে। ওখান থেকে বিজেপি-র মাল সরবরাহ হচ্ছে। ১০ তারিখ দেখবেন, মুখো কালো কাপড় বেঁধে...আয় রাজ্যপাল দেখে যা, মমতার ক্ষমতা।"


তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "এই প্রবল গরমে গলাবন্ধ কোট পরে গিয়েছেন। ফলে ঠান্ডা মাথায় কিছু করা সম্ভব হয় না। তাই পক্ষপাতদুষ্ট কিছু আচরণ দেখতে পাচ্ছি আমরা।"


যদিও ভাঙড়ের ঘটনায় কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি ছিল, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ আক্রান্ত মানে, গণতন্ত্র আক্রান্ত, সাধারণ মানুষ আক্রান্ত, সংবিধান আক্রান্ত, নতুন প্রজন্ম আক্রান্ত। এই শয়তানের খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরু পশ্চিমবঙ্গেই হবে।