কলকাতা:বাংলার মসনদে এবার কে? শেষ হাসি হাসবে কারা? এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ফের ক্ষমতায় আসতে পারে তৃণমূল। সমীক্ষা অনুযায়ী,তৃণমূল পেতে পারে ১৬৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ১২৬টি আসন। বিজেপি পেতে পারে একটি আসন। অন্যান্য চারটি।

ভোট শতাংশের ভিত্তিতে কার কত আসন পেতে পারে, তারও ইঙ্গিত মিলেছে।

এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন ভোট পরবর্তী সমীক্ষায়। সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে চুয়াল্লিশ শতাংশ ভোট। জোট পেতে পারে ৪২ শতাংশ ভোট। গত লোকসভা ভোটে যে বিজেপি প্রায় সতেরো শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তাদের এবার ভোটের হার কমে সাত শতাংশ হতে পারে। অন্যান্য পেতে পারে সাত শতাংশ ভোট।

এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় উঠে আসা পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী এবং তৃণমূল ক্যাডাররা দাপট দেখাতে পারেননি, সেখানে বাম-কংগ্রেস জোট এগিয়ে। তবে, গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূলের জনপ্রিয়তা তুলনামূলকভাবে বেশি। গ্রামের ভোটে ভর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বৈতরণী পার হতে পারেন। বাম-কংগ্রেস জোট অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।

এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন ভোট পরবর্তী সমীক্ষা অনুযায়ী,২৫টি আসনে অল্প ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা তৃণমূলের।

এই আসনগুলিতে তৃণমূল ৫ শতাংশেরও কম ব্যবধানে জয়ী হতে পারে বলে সমীক্ষায় ইঙ্গিত।

 

বিধানসভা নির্বাচনে কোন দল ক’টি আসন পেতে পারে? ফলঘোষণার আগে সেই আভাস পেতে পোস্ট পোল বা ভোট পরবর্তী সমীক্ষা চালিয়েছে এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন। এগজিট পোলের সঙ্গে এই পোস্ট পোলের কিছু ফারাক রয়েছে। এগজিট পোল হয় ভোটের দিন। আর, পোস্ট পোল সমীক্ষা হয় ভোটের পর।

এগজিট পোলের ক্ষেত্রে ভোট দিয়ে বেরনোর সময়ই বুথের কাছে ভোটারদের প্রশ্ন করা হয়। এক্ষেত্রে ভোটারদের ওপর চাপ থাকতে পারে। কিন্তু, পোস্ট পোল সমীক্ষায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মতামত জানতে চাওয়া হয়। নিশ্চিত করা হয় তাঁদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসবে না। ফলে এক্ষেত্রে মতামত জানাতে ভোটারদের ওপর কোনও চাপ থাকে না।

এগজিট পোলের ক্ষেত্রে আট থেকে দশটি বুথকে বেছে নেওয়া হয়। তার প্রত্যেকটিতে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ধরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফলে এতে সেই বুথের সামগ্রিক ছবির প্রতিফলন নাও ঘটতে পারে। কিন্তু, পোস্ট পোল ভোটের পর হওয়ায়, তথ্য বিশ্লেষণের জন্য অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়।

এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন পোস্ট পোলের ক্ষেত্রে সমীক্ষকরা ৩৪ হাজার ৫২৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন।সমীক্ষা চালানো হয়েছে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত।