কলকাতা: রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটই ক্ষমতায় আসছে বলে রিপোর্ট পেশ সিপিএম সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে। জোট পেতে পারে ১৬০ থেকে ১৬২টি আসন। সূত্রের খবর, এমনটাই উল্লেখ রয়েছে আলিমুদ্দিনের রিপোর্টে।
পরিবর্তনের পরিবর্তন, নাকি প্রত্যাবর্তন? বাম-কংগ্রেস জোট নাকি তৃণমূল? ১৯ মে শেষ হাসি হাসবে কে? দুই শিবিরই এখন চুলচেরা হিসেবে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী বৈঠকে বসে।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএম নেতারা এদিনের বৈঠকে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তা অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনের মধ্যে ৪০টিই বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে আসতে পারে বলে তাদের অনুমান।
অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের ২২টির মধ্যে জোট ২০টি আসন পাবে বলে আশাবাদী সিপিএম নেতৃত্ব। তাদের দাবি, বর্ধমানের ২৫ আসনের মধ্যে জোটের ঝুলিতে আসতে পারে ১৭টি আসন।
হুগলিতে ১৮টি আসনের মধ্যে জোট ৬ আসন পাবে বলে অনুমান আলিমুদ্দিনের। হাওড়ার ১৬টি আসনের মধ্যে ৪টি বাম-কংগ্রেস জোট পাবে বলে আশা সিপিএম নেতৃত্বের।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে আসন সংখ্যা ৬৪। এর মধ্যে ৩২টি আসন জোট পাবে বলে আশাবাদী আলিমুদ্দিন। নদিয়ার আসন সংখ্যা ১৭। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অনুমান, এই জেলার ৮টি আসনে জোটই জিতবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে ১৬টি আসনের মধ্যে ৬টি জেতার আশা করছেন সিপিএম নেতারা। বীরভূমের ১১ আসনের মধ্যে ৬টিতে জোটের জয়ের অনুমান করছে আলিমুদ্দিন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জোটের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে সিপিএম নেতৃত্ব।
রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঁকুড়ার ১২টি আসনের অর্ধেকই চলে আসতে পারে জোটের ঝুলিতে। পুরুলিয়ার ৯ বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতেই জোটের জয় নিশ্চিত বলে মত সিপিএম নেতাদের।
কলকাতায় রয়েছে ১১টি আসন। সিপিএম নেতৃত্বের অনুমান, রাজধানী থেকে ৩টি আসন পেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট।
সব মিলিয়ে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৬০ থেকে ১৬২টি আসনে জোটের জয়ের অনুমান করছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। সূত্রের খবর, তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বামফ্রন্ট একাই পেতে পারে, ১১০টি আসন। জোটসঙ্গী কংগ্রেস পেতে পারে ৫০-৫২টি।
যদিও তৃণমূল বরাবরই দাবি করে আসছে, এবারও তারাই রাজ্যে সরকার গড়তে চলেছে। কিন্তু আশাবাদী আলিমুদ্দিনও। ১৯ তারিখ ভোটের ফল। তার ঠিক দু’দিন বাদেই ডাকা হয়েছে রাজ্য কমিটির বৈঠক।