সেখানে দাঁড়িয়েই উড়ালপুল বিপর্যয় থেকে সিন্ডিকেটের মতো ইস্যুতে মমতার সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, উড়ালপুল ভেঙে পড়ল, মমতা বলছে সিপিএম শুরু করেছে। ৫ বছরে আপনি কী করলেন। ৭ বার রিভিউ করেছেন। কাজ করেছেন আপনার সিন্ডিকেটের লোকেরা।
শুধু ভবানীপুরই নয়। এর আগে সরিষার সভাতেও পোস্তায় উড়ালপুল ভেঙে ফেলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন অমিত শাহ। সারদা থেকে নারদের মতো দুর্নীতির টাটকা ইস্যুকেও তণমূলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছেন মোদীর সেনাপতি। বলেন, মা-মাটি-মানুষের স্লোগান এখন ভয়-ভুখ-ভ্রষ্টাচার। সারদা-নারদা নিয়ে জবাব দিন মমতা।
পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শ্রীরামপুরের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, বিজেপির আনআইডেন্টিফায়েড সোর্স থেকে ২১০০ কোটি টাকা পেয়েছে। তোমরা সারদা সারদা করছ। যদিও, বিজেপি-মমতার এই লড়াই আসলে লোক দেখানো বলেই দাবি বাম-কংগ্রেস জোটের।
কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেন, দু’জনে লড়ছেন। মোদী-মমতা। সাজানো লড়াই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগ তোলেন। বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া।
জোটের দাবি, বারবার রাজ্যে প্রচারে এসে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে নরেন্দ্র মোদী আসলে মমতার সুবিধা করে দিতে চাইছেন। কারণ, বিজেপি জোটের ভোট কাটতে পারলে, আদতে তৃণমূলই লাভবান হবে। সেইসঙ্গে মোদীর সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ খণ্ডন করার সুযোগও পেয়ে যাবেন তৃণমূলনেত্রী। আর এই কৌশলের পাল্টা হিসাবেই মোদী-মমতা আঁতাঁতের দাবিকে আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন সনিয়া-রাহুল।