কলকাতা: এবারের ভোটে জোটের জয়। এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক সুর রাহুল গাঁধী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। দুজনেরই মুখে এক রা, ‘জিতছে জোট’! দুজনেই বলেছেন, বাম-কংগ্রেস জোটই জিতবে। আমরা পারব। জানি কীভাবে সরকার চালাতে হয়। তৃণমূল, বিজেপিকে হারানোর ডাক দেন তাঁরা।


 

বুদ্ধদেব যেখানে ছাড়েন, সেখান থেকে শুরু করেন রাহুল। বলেন, জোটই সরকার গড়ছে। তৃণমূলকে বাংলা থেকে হঠাও।



এখনও বাকি দু’দফার ভোট। তার আগে বুধবার পার্কসার্কাসের সভায় এক মঞ্চে রাহুল ও বুদ্ধদেব। জোটের দুই প্রধান কাণ্ডারী। বুদ্ধদেব টি-২০-র মেজাজে, তো রাহুল গাঁধী স্লগ ওভারে ব্যাট ঘোরালেন। কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, ভয় পাবেন না বাম ও কংগ্রেসের কর্মীরা দেখিয়ে দিন আপনারা কী করতে পারেন।

 

বুদ্ধ-রাহুল একসঙ্গে। একমঞ্চে। জোটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। দু’জনেই হাবভাবে বুঝিয়ে দিলেন জোট হয়েছে, মনও মিলেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শুরুতে বলেন, আজ বাম ও কংগ্রেস একমঞ্চে এসেছে। গোটা রাজ্যে, মাটে ঘাটে একসঙ্গে আওয়াজ উঠেছে, তৃণমূল হঠাও পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও।



পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে সিপিএমের প্রধান কাণ্ডারী যদি হয়ে থাকেন বুদ্ধদেব, তা হলে কংগ্রেসের রাহুল। অনেকে ভেবেছিলেন, মমতা-সনিয়ার যা সম্পর্ক, তাতে হয়ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে বামেদের হাত কংগ্রেস শেষমেশ ধরবে না। কিন্তু, রাহুল শেষপর্যন্ত নিচুতলার কর্মীদের কথা শুনেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যার নিট ফল, বাম-কংগ্রেস জোট। এতদিন সূর্যকান্ত মিশ্র-অধীর চৌধুরীরা জোটকে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বুধবার একমঞ্চে উপস্থিত হয়ে জোটের সেই ঐক্যের বার্তাকেই চূড়ান্ত রূপ দিলেন বুদ্ধদেব-রাহুল। জোটের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।