কলকাতা: প্রথম দফার ভোটে যা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন পরের দফায় না হয়। কোনও ভাবেই বুথে ঢুকবে না রাজ্য পুলিশ। এলাকায় অনবরত টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথায়, কতবার টহল, রেকর্ড থাকবে লগবুকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বচনী আধিকারিকের দফতরকে কড়া নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই জঙ্গলমহলের একাধিক বুথে ভোট তদারকিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য পুলিশকে। কোনও কোনও জায়গায় চোখেই পড়েনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি, কোথাও আবার কেনাকাটা বা বিশ্রাম নিতে দেখা গিয়েছে বাহিনীর জওয়ানদের।
এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের নির্দেশ, প্রিসাইডিং অফিসার না ডাকলে কোনও ভাবেই বুথে ঢুকতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। ভোটের সময় এলাকায় অনবরত টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোন এলাকায়, কতবার টহল দিয়েছে বাহিনী, তার রেকর্ড রাখতে হবে লগবুকে।
সোমবার, প্রথম দফার নির্বাচনে দিল্লিতে বসে সংবাদমাধ্যমে চোখ ছিল কমিশনের। সূত্রের খবর, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে ৮ বার রাজ্যের মুখ্য নির্বচনী আধিকারিকের দফতরের সঙ্গে কথা হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। তাদের নির্দেশ, কোনও অভিযোগ এলে, তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর জানাতে হবে সংবাদমাধ্যমকে।
১১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩টি, বাঁকুড়া এবং বর্ধমানের ৯টি করে আসনে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার, এই ৩ জেলার পুলিশ প্রশাসন এবং এডিজি-আইনশৃঙ্খলা, এডিজি-সশস্ত্র পুলিশ, সিআরপিএফ-এর আইজির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও কনফারেন্স করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদির কড়া বার্তা, প্রথম দফার ভোটে যা ঘটেছে, পরের দফার ভোটে যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।
প্রথম দফায় কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখেই কমিশন নড়েচড়ে বসল বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। বিরোধীদের বক্তব্য, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।