কলকাতা: পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারল না নির্বাচন কমিশন। চেয়ে পাঠানো হল প্রিসাইডিং অফিসাদের ডায়েরি, ভিডিও ফুটেজ। সেইসঙ্গে শুরু হল বুথ ধরে ধরে রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ।পুনর্নিবাচনের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কার্যত নজীরবিহীন পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
৪ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটের পর মাত্র দুটি বুথে পুনরায় ভোট নেওয়া হয় ১১ এপ্রিল। এরপর আরও ছ’দফায় ভোট হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাকী ৭৭,২৪৫টি বুথে কোথাও ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়নি। অথচ প্রতিটি পর্যায়ের ভোটেই একাধিক ক্ষেত্রে শাসকদলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠেছে।
এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।  স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠেছে, পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টে কী বাস্তব চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে?  এই প্রশ্নের মীমাংসা করতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৭৭,২৪৫টি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি জমা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  জমা নেওয়া হয়েছে সমস্ত ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ ও স্ক্রুটিনির ডিভিও ফুটেজ।
সংবাদমাধ্যম থেকে সংগৃহীত তথ্য, রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ এবং নিজস্ব সূত্রে পাওয়া তথ্যগুলির সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের ডায়েরি, ক্যামেরা ফুটেজ মিলিয়ে দেখতে চাইছে কমিশন।  সিইও দফতর সূত্রে খবর, কমিশন কোনও বুথে পুনরায় ভোট করাতে চাইলে ১৭ তারিখ পর্যন্ত তা করা সম্ভব। সুতরাং পুনর্নিবাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিশনের হাতে এখনও পর্যাপ্ত সময় রয়েছে।