কলকাতা: মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তর অপসারণের দাবিতে সরব বিরোধী থেকে বিদ্বজ্জনরা। সূত্রের খবর, এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ধমকের মুখে পড়তে হয় সুনীল গুপ্তকে।
একদিকে যখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবিতে সরব বিরোধীরা, ঠিক তখনই তাদের অভিযোগের কেন্দ্রে আরও এক ব্যক্তি! তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত। ভোট যত এগোচ্ছে, ততই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর বাড়ছে! বিরোধী দলগুলি তো আগেই সরব হয়েছে, এবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র অপসারণ দাবি করে কমিশনে গেলেন বিদ্বজ্জনরাও।
এর আগে এদিন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তকে সরানোর দাবি তোলে বিরোধীরাও। কমিশনের কাছে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সিইও কাজ করছে না। এরিয়া ডমিনেশন হচ্ছে না ঠিক করে। সবংয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া বলেন, পর্যবেক্ষকরা সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। সিইও-কে সরান। বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, গত দু’দফার ভোটে আমরা সন্তুষ্ট‍ নই। সিইও অফিস কাজ করেনি।
যাঁর তত্ত্বাবধানে রাজ্যে এতবড় ভোট-প্রক্রিয়া চলছে, তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগের পাহাড়! যার জেরে এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তকে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদির কাছ থেকে ধমক খেতে হয় বলে সূত্রের দাবি। সুনীল গুপ্তর কাছে জাইদি জানতে চান, তাঁর দফতরের ভূমিকা নিয়ে কেন এত প্রশ্ন উঠছে? কেন সব রাজনৈতিক দলই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে নাসিম জাইদির আশ্বাস, আগামী দিনে ভোট সংক্রান্ত তথ্য পেতে আর কোনও সমস্যা হবে না!
আশ্বাস তো এল, পরিস্থিতি বদলায় কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।